ইতিহাসের সবচেয়ে আয় করা ষষ্ঠ ছবি স্পাইডার-ম্যান : নো ওয়ে হোম
‘জুরাসিক পাক’ ও ‘দি লায়ন কিং’কে পরপর পেরিয়ে ‘স্পাইডার-ম্যান নো ওয়ে হোম’ হয়ে গিয়েছে সব সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ষষ্ঠ ছবি। মহামারি কালের সবচেয়ে বড় ছবি হয়েছে, মারভেলের এই সুপারহিরো ব্লকবাস্টার ‘স্পাইডার-ম্যান : নো ওয়ে হোম’। আরো অনেক বেশি এগিয়ে ছবিটি চলে এসেছে সর্বকালের সবচেয়ে আয় করা ছবিগুলোর প্রথম ১০টির ভেতরে।
আসলে ‘স্পাইডার-ম্যান : নো ওয়ে হোম’ বৈশ্বিক বক্স অফিসে বিরতি দিতে অস্বীকার করেছে তাকে বিচার করার ক্ষেত্রে। ফলে দুবার এগিয়ে গিয়ে ছবিটি এখন হয়েছে সব সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ষষ্ঠতম। বৈশ্বিক সিনেমা বাজার থেকে এই পর্যন্ত আয় করেছে ১.৬৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গেল একটি সপ্তাহের আগের ও পরের ছুটির দিনের মধ্যে ‘দি মার্ভেল’ ও ‘সনি ফিল্ম’ পেরিয়েছে জুরাসিক পার্ক (১.৬৭ বিলিয়ন মাকিন ডলার) এবং দি লায়ন কিং (১.৬৬ বিলিয়ন মাকিন ডলার)কে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে আয় করা ছবিগুলোর এই তালিকার প্রথম ৫টি দুই বিলিয়ন মাকিন ডলারের বেশি আয় করেছে। এটি দুভার্গ্যজনক মনে হচ্ছে যে, নো ওয়ে হোম আর সামনে এগুতে পারবে না। তবে এও মনে করারও কোনো কারণ নেই, জন ওয়াটসের পরিচালনাটি সেখান পর্যন্ত পৌছানোর বীরত্ব দেখাতে পারবে না।
ছবিটির এখানে থেমে যাবার একটি কারণ হলো, ছবিটি চীনে মুক্তি পেতে পারেনি। যেটি হলিউডের দূরের বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোর একটি। এছাড়াও বিলিয়ন-ডলার ক্লাবের কোনো ছবিকেই নো ওয়ে হোমের মতো কভিড-১৯ মহামারি রোগের কঠোর বিধিনিষেধকে নানাভাবে বিশ্বের নানা অংশে মোকাবেলা করতে হয়নি কিন্তু এমনকি ভাইরাসটির পুণরুত্থানে-সেটি অমিক্রম নামের বিকল্পটি; এটিও ছবিটিকে থামাতে পারেনি।
বেরুনোর ছয় সপ্তাহে, নো ওয়ে হোম আমেরিকান বক্স অফিসে এখনো এক নম্বর ছবি। সামান্য সময়ের জন্য একে জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল ভৌতিক হত্যাকান্ডের সিনেমা ‘সিক্রিয়াম।’
অমিক্রনের বিষয়গুলোর বেড়ে যাবার কারণে দেশটির বেশকটি অংশে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তারপরও স্পাইডার-ম্যান সিরিজের তিনটি ছবির প্রধান চরিত্র টম হল্যান্ডের ছবিটি ভারতেও খুব ভালো করেছে। স্পাইডার-ম্যানের ভারতে আয় ছিল ২১২ কোটি রূপী বা ২৮ মিলিয়ন মাকিন ডলারের সামান্য বেশি। মহামারি যুগে দেশটিতে দুটি ছবি কেবল ২শ কোটি রূপীর মাইলফলক পেরুতে পেরেছে। একটি হলো 'সুরিয়াভানশি' অন্যটি 'পুস্প; দি রাইজ’।
সর্বকালে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি (বক্সঅফিস মোজো.কম অনুসারে)
১. অ্যাভাটার : ২০০৯ সালের ছবি; এই পযন্ত আয়-২.৮৪৭ বিলিয়ন।
২. অ্যাভেঞ্জারস : এন্ডগেম; ২০১৯ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ২.৭৯৭ বিলিয়ন।
৩. টাইটানিক : ১৯৯৭ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ২.১৮৭ বিলিয়ন।
৪. স্টার ওয়ারস : দি ফোস অ্যাওকেনস: ২০১৫ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ২.০৬৮ বিলিয়ন।
৫. অ্যাভেঞ্জারস : ইনফিনিটি ওয়ারস :২০১৮ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ২.০৪৮ বিলিয়ন।
৬. স্পাইডার-ম্যান : নো ওয়ে হোম; ২০২১ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ১.৬৯১ বিলিয়ন।
৭. জুরাসিক ওয়াল্ড : ২০১৫ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ১.৬৭১ বিলিয়ন।
৮. দি লায়ন কিং : ২০১৯ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ১.৬৫৬ বিলিয়ন।
৯. দি অ্যাভেঞ্জারস : ২০১২ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ১.৫১৮ বিলিয়ন।
১০. দি ফিউরিয়াস ৭ : ২০১৫ সালের ছবি; এই পর্যন্ত আয় ১.৫১৬ বিলিয়ন।
(হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে ২৪-১-২০২২)