সন্দেহের তীর শ্রুতি হাসানের দিকে
বছর শেষ হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের তারকা জুটি সামান্থা ও নাগা চৈতন্যর বিচ্ছেদের খবর দিয়ে। এ বছর শুরু হলো ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার ঘর ভাঙার খবর দিয়ে। ২০০৪ সালের নভেম্বরে দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তর বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তর সঙ্গে বিয়ে হয় ধানুশের। বিয়ের ১৮ বছর পূর্তির পর সংসারের ইতি টানলেন এ দম্পতি।
১৭ জানুয়ারি রাতে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া একসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের বিবৃতি পোস্ট করেন। ধানুশ লেখেন, ‘একসঙ্গে ১৮ বছর ছিলাম—বন্ধু, স্বামী-স্ত্রী ও অভিভাবক হিসেবে, একে অন্যের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে। আজ আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেল।’ ঐশ্বরিয়াও মোটামুটি একই বক্তব্য দেন। দুজনই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।
শোবিজের দুই তারকার প্রেম, বিয়ে খানিকটা সিনেমার মতোই। ২০০৩ সালে ধানুশের ‘কাধাল কোনদেন’ ছবি মুক্তির সময় দুজনের প্রথম পরিচয়। মেয়ের সঙ্গে ধানুশের পরিচয় করিয়ে দেন রজনীকান্তই। পর্দার ধানুশকে দেখে মুগ্ধ হয়ে পরে অভিনেতার বাড়িতে ফুল ও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান ঐশ্বরিয়া। এরপর ধীরে ধীরে আলাপ বাড়ে। আলাপ থেকে বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। ২০০৬ ও ২০১০ সালে এ দম্পতির ঘরে যাত্রা ও লিঙ্গা নামে দুই পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
তবে বিচ্ছেদের ঘোষণার পর শুরু হয় নানা আলোচনা। কেন ভাঙল ১৮ বছরের সংসার? কী এমন হয়েছিল তাদের সংসারে? এ নিয়ে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার কেউ মুখ খোলেননি। তাদের ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকেও তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে তাদের সংসারে ফাটলের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখা হয় অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের সঙ্গে ধানুশের প্রেমের গুজবকে। ২০১২ সালে ‘৩’ ছবিতে অভিনয়ের সময় তাদের প্রেম নিয়ে খবর হয়। পরে ঐশ্বরিয়া নিজেই স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের খবর নাকচ করে দেন। এত দিন পরে সেই পুরনো ‘সম্পর্ক’ বিয়ে ভাঙার কারণ হলো কি না জানা যায়নি।
ধানুশকে দক্ষিণ ভারতের এ প্রজন্মের অন্যতম সেরা অভিনেতা মনে করা হয়। বাণিজ্যিক থেকে সমালোচকপ্রিয় সব ধরনের ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তামিল ছাড়াও করেছেন হিন্দি ছবি। অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া চলচ্চিত্র পরিচালক ও গায়িকা। ২০১২ সালে তার অভিষেক ছবি ‘৩’-এ অভিনয় করেন ধানুশ।
এসএন