টিভিতে মহাভারতের কৃষ্ণ জানালেন, বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন
ধানুশ ও ঐশ্বরায়ার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার পর আরেক অভিনেতা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা হয়েছেন। তিনি নিতীশ ভরদ্বরাজ, সবচেয়ে পরিচিত বি আর চোপড়ার টিভি সিরিজ ‘মহাভারত’র ‘রাজা কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
সিনেমা সিটি মুম্বাইয়ের সংবাদ মাধ্যম বম্বে টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিতীশ ভরদ্বরাজ প্রকাশ করেছেন যে, ২০১৯ সালে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনপত্র দাখিল করেছিলেন। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমি মুম্বাইয়ের পারিবারিক আদালতে (ফ্যামিলি কোট) সে বছরের সেপ্টেম্বরে বিচ্ছেদের একটি আবেদন করেছিলাম।
কেন আমরা আলাদা হয়েছিলাম সেই কারণগুলোর ভেতরে আমি যেতে চাই না। বিষয়টি এখন আদালতে আছে। যা বলতে পারি সেটি হলো, কখনো বা কোনো সময় বিচ্ছেদ মৃত্যুর চেয়েও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। যেহেতু আপনি একটি মূল অঙ্গহানি নিয়ে বেঁচে থাকেন।’
এই অভিনেতা বিয়ে করেছিলেন স্মিতা গেটকে। তিনি ২০০৯ সাল থেকে একজন আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন সাভিস-ভারতের প্রশাসনিক চাকরি) অফিসার। শুধু তাই নয়, তাদের দুটি সন্তান আছে। দুজনেই মেয়ে।
এর আগেও বিয়ে করেছেন অভিনেতাটি। তার সেই স্ত্রীর নাম ছিল মনীষা পাতিল। তারা আলাদা হয়ে গিয়েছেন ২০০৫ সালে। তখনও তাদের দুটি সন্তান ছিল। একটি ছেলে ও আরেকটি মেয়ে।
সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, ‘দৃঢ়ভাবে আমি প্রতিষ্ঠানিকতায় বিশ্বাস করি। তবে আমার আসলে কপাল খারাপ। সাধারণত কোনো বিয়ের পর সংসার ভেঙে যাবার কারণগুলো অনেক হতে পারে। কোনো সময় এটি হয় অনমনীয় মনোভাব ও আচরণের কারণে অথবা যখন সহানুভূতির অভাব থাকে। আবার কখনো বিয়ে ভাঙতে পারে ইগোর সংঘাতের ফলাফলে, নিজেকে নিয়েই থাকার চিন্তন প্রক্রিয়াতেও। তবে যেকোনো কারণেই বিয়ে ভাঙুক না কেন, তাতে সবচেয়ে বেশি ভোগে ছেলেমেয়েরাই।’
তিনি বলেছেন, ‘ফলে পিতামাতার ওপর দায়িত্ব বতায় যে, তারা সবনিম্ম ক্ষতি স্বীকার করে ছেলেমেয়েরা যেন তাদের কাছে যেতে পারে সেটি নিশ্চিত করবেন।’
এই সমীকরণটি তার এই সংসারের দুটি মেয়ের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিতীশ ভরদ্বরাজ বলেছেন, ‘আমি তাদের কাছে যেতে পারি কি না পারি সেই বিষয়ে নিজের মন্তব্য সংরক্ষিত বা গোপন রাখতে চাই।’
এনডিটিভি/এমএমএ/