শিমু হত্যায় আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে: জায়েদ খান
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর সেতুর পাশে মরদেহ পাওয়া যায়। শিমু হত্যায় শিল্পী সমিতির সদ্যবিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকেই।
এফডিসি শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো শিল্পীদের মধ্যে শিমুও ছিলেন। এ নিয়ে তিনি একাধিকবার জায়েদ খানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে তাই সমিতির পদ হারানো একাধিক শিল্পী হত্যাকাণ্ডের পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে সোমবার দিবাগত রাতেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। সেখানে নিজের বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য চলাকালীন লাইভেও আসেন এই অভিনেতা।
জায়েদ খান বলেন, ‘শিমুর হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি র্যাবকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা ইতিমধ্যে আসামিকে ধরে ফেলেছে। গতকাল বিকালে আমি যখন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন শিমুর ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললেন, জায়েদ ভাই, কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাচ্ছি না। কলাবাগান থানায় জিডি করেছি। আপনার সহযোগিতা চাই। আমি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই।’
লাইভে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘ঘটনার পর পর আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, ১২ দিন আগে শিমুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই।’
কেন তাকে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে সম্পর্কে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে নোংরামি চলছে। এসব নোংরামি বন্ধ করুন। আর যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থ নেব।’
এএম/এসএ/