বোমা দিয়ে ওড়ানো হবে শাহরুখের বাড়ি!
বলিউড কিং খানের জীবনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। শুরু ২০১৮-এ ‘জিরো’ ছবির মুখ থুবড়ে পড়া দিয়ে। প্রায় অবসাদে চলে গেলেন শাহরুখ। ছবিটা নিয়ে তার অনেক উচ্চাশা ছিল। মনের দু:খে ৪ বছর কাজ থেকে বিরতি, অবশেষে মনে ধরল ‘পাঠান’-এর চিত্রনাট্য। শুরু হল শ্যুটিং, কিন্তু মাঝপথেই ফের ছন্দপতন।
এবার কেরিয়ার নয়, ব্যক্তিগত জীবনে। মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। প্রায় ১ মাস আর্থার রোড জেলে কাটিয়ে অবশেষে জামিনে বাড়ি ফিরেছে ছেলে। কিং খান ফের ফিরলেন শ্যুটিংয়ে। ফের হাজির আরেক বিপত্তি। তার বাংলো নাকি উড়িয়ে দেওয়া হবে। রাতের ঘুম উড়ল বাদশার। অভিযোগ, মহারাষ্ট্র পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একটি উড়ো ফোন আসে, এক ব্যক্তি হুমকি দেয় সে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ব্লাস্ট করাতে চলেছে, তালিকায় রয়েছে শাহরুখ খানের বাসভবন মন্নত-ও।
শাহরুখের বাংলো মন্নত মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে। শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। প্রতিদিন ভক্তরা বাংলোর বাইরে ভিড় জমান, যদি একবার তাদের স্বপ্নের নায়কের দেখা মেলে। ছুঁয়ে দেখেন প্রাণপুরুষের বাড়ি, ছবি তোলেন মন্নত লেখা ফলকের সামনে। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৬ জানুয়ারির যে উড়ো ফোনটি আসে, সেখানে ব্যক্তি হুমকি দেয় সে পরমাণু বোমা দিয়ে ওড়াতে চলেছে শহরের একাধিক জায়গায়, এরমধ্যে রয়েছে ছত্রপতি শিবাকি মহারাজ টার্মিনাস, কুরলা রেলওয়ে স্টেশন, শাহরুখের বাংলো ও নভি মুম্বইয়ের কাছে খরগড়ে অবস্থিত একটি গুরুদ্বার।
সিএসপি অলোক শর্মা জানান, ‘মহারাষ্ট্র পুলিশের থেকে আমরা একটা ফোন পাই। আমাদের বলা হয়, জবলপুর থেকে এক ব্যক্তি দাবি করছে, সে মুম্বইয়ে নাশকতামূলক হামলা ঘটাবে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে মহারাষ্ট্র পুলিশ আমাদের সাহায্য চায়। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছি।’
জবলপুরের অ্যাডিশনাল সুপারিনটেনড্যান্ট অব পুলিশ গোপাল খান্ডেল জানান, ‘মহারাষ্ট্র পুলিশ ফোন নাম্বর ট্র্যাক করে জিতেশ ঠাকুর নামে, বছর ৩৫-এর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত মাদকাসক্ত, অতীতেও অনকবার এরকম ভুয়ো কল করে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ১০০ ডায়াল করে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেও একাধিকবার বচসায় জড়িয়ে পড়েছে।’