পরীমনির নারাজি
ছবি: সংগ্রহ
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নারাজি আবেদন দেন পরীমনি।
পরীমনির নারাজি আবেদনের আদেশ পরে দেবেন বলে জানান বিচারক হেমায়েদ উদ্দিন। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছেন নাসির-অমি। শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। নাসির-অমি আত্মসমর্পণ করলেও মামলার অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক রয়েছেন।
গত ১৪ জুন সাভার থানায় মামলাটি করেছিলেন পরীমনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করান। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।
এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।
আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।