শুভ গাইলেন ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’
‘আমি তোমাকেই বলে দেব কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে’-এই গানটিই সম্ভবত সঞ্জীব চৌধুরীর সেরা গান। বাংলা গানের জনপ্রিয় ব্যান্ড ধারার অন্যতম প্রতিভা শুভ গেয়েছেন গতকাল তার স্মরণে। বলেছেন, ‘সঞ্জীবদার যাত্রা বাংলা গানে আড়াই, তিন দশক ধরে। তিনি আর নেই। তবে তার গানকে আমাদের গেয়ে গেয়েই তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাকে এভাবেই স্মরণ করতে হবে আমাদের।’
নিজের গাওয়ার অনুভূতি বলেছেন তিনি, ‘এই গানটি তো আমাকে গাইতেই হয়নি। দর্শকরাই গেয়েছেন। আমি কেবল তাদের সঙ্গ দিয়ে গিয়েছি।’
ব্যান্ডদল ‘শুভযাত্রা’র দলনেতা ও অ্যাকুয়াসটিক গিটারবাদক এবং ভোকাল মঈদুল ইসলাম খান শুভ গতকাল এসেছিলেন অ্যালাইভ এক্সপেরিয়েন্সের প্রথম আয়োজনে।
এই গানের অসাধারণ আসরটি বসেছিল ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বসুন্ধরা গ্রুপের ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনশন সেন্টার, বসুন্ধরা (আইসিবি) ৩-এ।
সেখানে আসলে ছিল দলছুটের বর্তমান দলনেতা ও ভোকাল, বিখ্যাত গায়ক, বারীন ও ইলা মজুমদারের ছেলে বাপ্পা মজুমদারের একক গানের সন্ধ্যা।
তিনি তার গানের যাত্রার প্রধান সঙ্গী দলছুটের প্রতিষ্ঠাতা, এদেশের বিখ্যাত ফিচার সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর সঙ্গে যৌথ গানের জীবনের গানগুলো গেয়েছেন।
অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তাতে শুভ। তিনি মঞ্চে উঠেছেন ঠিক নয়টায়। এর আগে গানগুলো শুনেছেন তিনিও।
শুভ বলেছেন তার গান করার অভিজ্ঞতা, ‘ভালো, বেশ ভালো।’
জানিয়েছেন শুভযাত্রার প্রাণ, ‘এই অনুষ্ঠানটি তো আসলে পুরোপুরিভাবে একটি পরিকল্পিত গানের আয়োজন। আমি যেমন একটি গান গেয়েছি, তেমনি কণাও একটি গানই করেছেন।’
শুভ জানিয়েছেন, ‘কে কয়টি গান করলেন, সেটি আসলে বিবেচ্য বিষয় নয়। ভীষণ ইমোশনাল একটি গানের অনুষ্ঠান কালকের শো। সঞ্জীবদা তো আমাদের গানের মধ্যে মিশে আছেন তার বিখ্যাত ও সুপারডুপার হিট গানগুলো দিয়ে। তারা দুজনে শুদ্ধভাবে গানের চর্চা করেন। ফলে আমাদের সবারই ভালো লেগেছে, লাভ হয়েছে অনেক।’
বলেছেন তিনি, ‘পরিবার নিয়ে টিকেট কেটে গানের চর্চার শুরু হলো। হারিয়ে যাওয়া এই আয়োজন আবার আমরা করতে পারলাম কাল থেকে। ফলে আমাদের নব জীবনের শুরু হলো।’
ওএফএস।