কাল বসুন্ধরার আইসিসি হলে বাপ্পা-শুভর কনসার্ট
ছেলেটির নাম মঈদুল ইসলাম খান। সেই প্রবল জনপ্রিয় ও বিখ্যাত গান ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’র মঈদুল ঢাকাতে; ঠিক তেমনই একজন মানুষ। মঈদুল পাঁচটি বছর অস্ট্রেলিয়াতে কাটিয়ে চলে এসেছেন বাংলাদেশে। বলেছেন, ‘বিদেশ আমার জন্য নয়।’ কী ছেড়ে এসেছেন তা আর খোলাসা করেননি বাংলাদেশের আগামী দিনের গানের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিভা। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় ধারার গানের অবিশ্বাস্য প্রতিভা এই মানুষটিকে তার নামটি বলে দিলেই চিনে ফেলবেন-‘শুভ’। এরপর ইউটিউব আর তার ফেসবুক লিংক তো রইলোই-https://www.facebook.com/shuvo.droots, https://www.facebook.com/Shuvojatrabd.
আগামীকাল ২৩ সেপ্টেম্বর. শুক্রবার ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বসুন্ধরা কনভেশন সেন্টার-‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার (আইসিসি)’র ‘হল নম্বর-৩’-এ আসবেন শুভ। তিনি হবেন অতিথি শিল্পী।
এবার এই আয়োজনের বিস্তারিত। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হবে বাপ্পা মজুমদার, দলছুট ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব চৌধুরীর সঙ্গী, ক্লাসিক্যাল গানের ওস্তাদ বারীন ও ইলা মজুমদারের একমাত্র সন্তানের একক গানের সন্ধ্যা। এই গানের জন্য গেট খোলা হবে বিকেল চারটা থেকে। বিপুল এই আয়োজন বাপ্পা ও শুভ’র। আইসক্রিম পার্টনার পোলার, স্ট্রিমিং সহযোগী রেডিও স্বাধীন, টিকেট পার্টনার বিকাশ। এই বিকাশে এখন আছেন শুভ, আগে ছিলেন স্বাধীনের মালিক এশিয়াটিকে। গানের সন্ধ্যাটির সহযোগিতায় আছে ক্যারটকম ও এয়ার এস্ট্রা। আছে কফি সহযোগী ম্যাডক্যাফে। ভ্যালুড পার্টনার আছে ওয়ার্ল্ড মিউজিক।
‘অ্যালাইভ এক্সপেরিয়েন্স’র প্রথম আয়োজনের প্রথম সলো পারফরমার হলেন বিখ্যাত বাপ্পা মজুমদার। দলছুট ব্যান্ডের এখন প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ফেসবুক লাইভ (https://www.facebook.com/ALIVEexperienceBD/videos/618705863320544)-এ, ‘এই কনসার্টে আমরা ২৮ থেকে ৩০টি গান করব। এই লাইভের মাধ্যমেও অ্যালাইভ তাদের প্রথম অধ্যায় শুরু করলো। তাদের জন্য শুভকামনা।’ কল করতে হবে যেকোনো প্রয়োজনে কনসার্টের জন্য-০১৭১৭৯১৫৯৯৯।
এর মধ্যে সব টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছে এই খবরটি বাংলাদেশের গানপ্রেমী ও গানওলাদের জন্য দারুণ সুখবর। শুভ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে টাকা দিয়ে টিকেট কেটে গান শোনার প্রচন্ড জনপ্রিয় চল আগে ছিল। এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। ফলে মানুষ আবার গানের জন্য টাকা খরচ করছেন, এই খবরটি আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে।’
বিনয়ী মানুষটি বলতে ভোলেননি কোনো, ‘আমি বাপ্পাদার সঙ্গে গাইছি বলে সম্মানিত বোধ করছি। আমি কোনো ভ্যালু অ্যাড করতে পারব বলেই তিনি আমাকে বিশ্বাস থেকে নিয়েছেন। সেজন্য আমার কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ এই নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই গানের জন্য তার জীবন উৎসর্গ।
এরপর দলছুটের গানের ধারা ও শুভর জনপ্রিয় ধারার গানের কোনো সংঘাত বা মেলবন্ধন কীভাবে হবে? শুভ বলেছেন, ‘সঞ্জীবদা ও বাপ্পাদার গানের সঙ্গে তাল মেলানো যেকোনো শিল্পীর জন্য চ্যালেঞ্জ। তারা ইস্টার্ন আবার ওয়েস্টান আবার মিলিয়ে গান করেন। আর আমি অনেকটা জনপ্রিয় ঘরাণার শিল্পী; ওয়েস্টার্ন আদলের গায়ক বলতে পারেন। তিনি আমার থেকে অনেক বেশি পপুলার এবং ভালো শিল্পী। অনেক সিনিয়র শিল্পী। প্রবল বিখ্যাত। ফলে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এই শোর জন্য আমি বিশেষভাবে চিন্তা করছি।’ ফলে আমাদের এখন থেকে অপেক্ষার পালা শুরু হলো।
ওএফএস।