নির্মাতার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার মামলা
নাটক নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি টাকার মামলা করা হলো নির্মাতার বিরুদ্ধে। গত ভালোবাসা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছিল নাটক ‘শেষ গল্পটা তুমিই’। সুকন্যা দত্তের রচনায় এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন।
এই নাটকের মোট বাজেট ছিল ৪ লাখ টাকা। এ নাটকে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন করার দায়ে ১৫ কোটি টাকার মামলা হয়েছে পরিচালকের বিরুদ্ধে।
এতে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, তাসনিয়া ফারিণ, মিলি মুন্সি, পাপিয়া, আরেফিন প্রমুখ। নাটকটি টেলিভিশনে প্রচারের পর ২৪ মার্চ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, নাটকের একটি দৃশ্যে খাঁচাবন্দী টিয়া পাখি দেখানোর অভিযোগে নির্মাতার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে উচ্চ আদালতে মামলা করেছে সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
জানা যায়, ৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নজরে আসে বিষয়টি। নথিতে বলা হয়, বন্যপ্রাণীকে খাঁচাবন্দী করা, বেচাকেনা করা, প্রদর্শন করা বা এ জাতীয় অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করা, প্ররোচনা প্রদান ইত্যাদি ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘সিডি চয়েস ড্রামা’ নামে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত নাটকটিতে খাঁচাবন্দী বন্যপ্রাণী প্রদর্শন প্রচলিত আইনে অপরাধ এবং অন্যদেরও সেই অপরাধ করতে উৎসাহিত করছে।
আর সে কারণে পরিচালক অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে ‘বন্যপ্রাণী আইন ২০১২’র ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। নাটকে ১৫ মিনিট আট সেকেন্ড থেকে শুরু হওয়া ৫৩ সেকেন্ডের সময় দৃশ্যটি রয়েছে। আর এই ৪৫ সেকেন্ডের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।
গেল ২৬ জুন ইমনকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোরবানির ঈদের নাটকের শুটিং থাকায় তিনি যেতে পারিনি। এরপর আইনজীবী নিয়োগ করে ২১ জুলাই আদালতে হাজির হন নির্মাতা। তখন বিচারক তাকে ১ আগস্ট হাজির থাকতে বলেছেন। অনিচ্ছাকৃত এই কর্মকান্ডের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন এই নির্মাতা।
এই মামলার সাক্ষী রয়েছে মোট চারজন-অসীম মলিম (বন্যপ্রাণী পরিদর্শক), মো. আব্দুল্লাহ-আস-সাদিক (বন্যপ্রাণী পরিদর্শক), মো. হাফিজুর রহমান (ফরেস্টার) ও মো. আব্দুল মালেক (জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট)।
এএম/এমএমএ/