প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে উপস্থাপনায় ফেরদৌস ও পূর্ণিমা
প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বিজয় উৎসব ২০২১’ উপস্থাপনা করবেন এই দুই তারকা। উৎসবের আয়োজক দুবাইয়ের ‘বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল’। সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলা চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় জুটি ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। একসঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে এই জুটির ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ নামের দুটি ছবি। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদেরকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরও অনেক অনুষ্ঠানে ফেরদৌস-পূর্ণিমার উপস্থাপনা পছন্দ করেছেন দর্শক। উপস্থাপনায় তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। শুধু দেশেই নয়, প্রবাসী দর্শকও মঞ্চে ফেরদৌস-পূর্ণিমাকে দেখতে চান। তাদের কথা ভেবেই এবার দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো কোনো শোতে অংশ নিচ্ছেন এই জুটি।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনার কারণে পুরো পৃথিবী থমকে গিয়েছিলো। এখন আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীরাও এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। নিজেদের কাজে ফিরছেন সবাই। সবারমধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা কাজ করছে। দেশের বাইরে যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা মূলত তাদের জন্যই শারজাহতে এই আয়োজন। এমন একটি আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারার মধ্যে আমি ভীষণ গর্ববোধ করছি। আমার সঙ্গে উপস্থাপনা করতে পূর্ণিমা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে আমিও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আশা করছি, দেশের বাইরে আমাদের প্রথম একসঙ্গে উপস্থাপনা স্মরনীয় হয়ে থাকবে।’
পূর্ণিমা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে শারজাহ’র এই আয়োজনে অংশ নিতে পারছি বলে ভীষণ আনন্দিত। সঙ্গে থাকছে আমার খুব ভালো বন্ধু ফেরদৌস। আশা করছি, অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ফেরদৌস ও পূর্ণিমা শারজাহতে অনুষ্ঠান শেষ করে দেশে ফিরবেন ২০ ডিসেম্বর। এদিকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর তারা দু’জন হাতিরঝিলের বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন।