সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের গুঞ্জন আর নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পাত্র দীর্ঘদিনের প্রেমিক পরিচালক-প্রযোজক আদনান আল রাজীব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয় তাদের।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেহজাবিন নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে বিয়ের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ৯ এপ্রিল ২০১২- বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসিওয়ালা একটি ছেলে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। তখন আমি যখন একটি শুটিং হাউসের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন তিনি রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নেড়েছিলেন। আমরা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কথা বলেছিলাম, হাত মিলিয়ে ছিলাম। সেদিন তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে আমি অনুভব করেছি যে আমার হৃদয়ের একটি টুকরো তার সাথে চলে গেছে।

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

পোস্টে আরও লিখেছেন, ১৩ বছর পর, এখানে আমরা, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি, প্রতিটি সাফল্য উদযাপন করছি এবং প্রতিটি বাধা অতিক্রম করছি। সবাই বলে, সাত বছরের বন্ধুত্ব জীবনভর থাকে—আমরা তা প্রায় দ্বিগুণ সময় কাটিয়ে ফেললাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ, আমরা চিরকালের জন্য আমাদের সম্পর্ক বেঁধে ফেলেছি। একে অপরকে হাত ধরাধরি করে এই যাত্রা চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি। এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সময়, আমরা আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রার্থনা কামনা করছি, যাতে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত থাকে সুখী ও একসঙ্গে কাটানোর।

এর আগে রোববার আয়োজন হয়েছিল তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। আর এদিনের কিছু ছবি ফাঁস হতেই তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম।

মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ছিল বেশকিছু বিধিনিষেধ। আমন্ত্রিত অতিথিরা তুলতে পারবেন না ছবি ও ভিডিও। কিন্তু এর মাঝেও ফাঁস হয়ে যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবিগুলোতে দেখা যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত। এ সময় দুজনকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে দেখা মেলে একটি ব্যান্ডদলের। বুঝতে বাকি নেই, নিজেদের বিয়েতে এই তারকা যুগল নাচে গানে বেশ মেতে উঠেছিলেন।

গায়ে হলুদের ফাঁস হওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে রবিবার একই রিসোর্টে সম্পন্ন হয়েছে রাজীব ও মেহজাবিনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শোবিজের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা বারণ ছিল। এর জন্য মাইক্রোফোনে ঘোষণাও দেওয়া হয়।

গায়ে হলুদের আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে রাজধানীর এক আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে রাজীব ও মেহজাবিনের আকদ বা আংটি বদলের অনুষ্ঠান হয়।

তারকা জুটির বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে লেখা, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবিন চৌধুরীর সঙ্গে বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’

Header Ad
Header Ad

বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন পারস্পরিক বিভেদ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারকে ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া হয়। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তর্ক-বিতর্কের সময় এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের স্বার্থবিরোধী শক্তি সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা করলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আড়াল হয়ে যেতে পারে, তাই এর পরিবর্তে দ্রুত নির্বাচন নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যাতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং দলকে আরও গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনো প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা গায়েবি ও মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব কেবল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী হলে, নেতৃত্ব সঠিক ব্যক্তিদের হাতে গেলে দল সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাবে। একইভাবে দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়লে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অতীতে কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ১৪০০ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষি খাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি আমরা এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তারেক রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করে দেশ থেকে পালিয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর আগে বলেছিলেন, এই স্বৈরাচার একদিন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালাবে—আজ সেটাই সত্য হয়েছে। আমরা এখন সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যদি শুধু এই বিষয়ে অযাচিত আলোচনা চালিয়ে যাই, তাহলে জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা তুলে ধরেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। গণতন্ত্রের চর্চা যত বেশি হবে, ততই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন করছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা হাত তুলে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সকালে সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু ও মুর্শিদ কামাল।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সৈয়দা রেহানা ঈসা।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০৫। উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে পর্যটক যাতায়াতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।”

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলোর মধ্যে ১৯টি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এবং বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।

অন্যদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে মোট ১২০ থেকে ১৪০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, “সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রথমে ইকো ভ্যালি রিসোর্টে আগুন দেখা যায়, পরে তা আশপাশের অন্যান্য রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।”

পরবর্তীতে, বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, “বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানি সংগ্রহে সমস্যা হয়েছে।”

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, “প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।”

সাজেক ভ্রমণ বন্ধের ঘোষণার ফলে পর্যটন খাত সাময়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পর্যটকদের জন্য সাজেক উন্মুক্ত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে প্রতি কেজি খেজুরের দাম বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এবার ১০ শতাংশ শুল্কহার কমানোয় খেজুরের দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।

গত বছর খেজুরের দাম যখন রোজাদারদের নাগালের বাইরে তখন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পরামর্শ দিয়েছিলেন খেজুরের বদলে বরই (কুল) খাওয়ার জন্য।

চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বহু জাতের খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ইরাকি জায়েদি খেজুরের। এ ছাড়া নিম্নবিত্তের ভরসায় আছে নরম বরই খেজুর। গত বছরের তুলনায় নরম বরই খেজুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, জায়েদি খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কমে ৩৫০ থেকে ৩৭০, আজোয়া খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমে ৬০০ থেকে ৮০০, মেডজল খেজুর ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কমে ৯০০ থেকে ৯৫০ এবং মাবরুম খেজুর ৪০০ টাকা কমে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বহুল চাহিদা থাকা জায়েদি খেজুর পাইকারিতে ১০ কেজি কার্টনের দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বস্তার খেজুর ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জায়েদি খেজুরের দাম আরো কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফলমণ্ডীর ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ডিউটি কমানোর কারণে ছোট ছোট আমদানিকারকরা এবার প্রচুর খেজুর আমদানি করেছে। গত বছর ডিউটিসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারা আমদানির সুযোগ পায়নি।

তাই খেজুর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের মধ্যে একটা অস্বস্তি ছিল। এ বছর খেজুরের দাম ও সরবরাহ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বন্দর ও জাহাজে আরো ৩০ শতাংশের মতো খেজুর আছে। যা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে ঢুকবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভজনক অবস্থায় থাকবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত বছর হাজী সেলিমের মদিনা ও নজরুল ইসলামের নাসা সিন্ডিকেট করে একচেটিয়া খেজুর এনে সেগুলো সংরক্ষণ করে, শোরুম খুলে খেজুর বিক্রি করেছে। তাই বাজারে খেজুরের সংকট ও দাম বেড়েছে। ঋণপত্র খোলার মার্জিনসহ বিভিন্ন শর্ত শিথিলের কারণে এবার ছোট-ছোট আমদানিকারকরা ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছে। তাই রমজানের বাজার নিয়ে ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, ‘এ বছর খেজুরের দাম এখন থেকেই কম। আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম নিয়ে সবাই শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দেয়। কিন্তু এবার সরকার যেভাবে মনিটরিংয়ে রেখেছে তাতে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। এবার খেজুরের দাম রমজানের শুরুতেও কম থাকবে। পরে হয়তো আরো কমতে পারে।’

ফ্রেশ ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৯০ হাজার টন। শুধু রমজান মাসে ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়। খেজুরগুলো মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসর, জর্দান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইরাকি জায়েদি খেজুরের।

আসন্ন রমজানকে লক্ষ্য করে ৪৮ দিনে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন জাতের ৩১ হাজার ৬৪৩ টন খেজুর, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশ। পাইপ লাইনে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। অথচ গতবছর খেজুর আমদানির পরিমাণ চলতি বছরের তুলনায় বেশি হলেও খোলা বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর ছিল না।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, পচনশীল পণ্য হওয়ায় দুই মাস আগে রমজানকে লক্ষ্য করে খেজুর আনা হয়। সে হিসেবে গত রমজানের আগের ৬০ দিনে ৫৪ হাজার ৩৫৩ টনের বেশি আমদানির বিপরীতে এবার আনা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৭০ টন আর পাইপ লাইনে রয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)