মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকা জয়া বন্যা ইস্যুতে তোপের মুখে

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে কথা বলা তো দূরে থাক- গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেননি তিনি। ফেসবুকে সব সময় সক্রিয় থাকা এই অভিনেত্রী আন্দোলন চলাকালীন ছিলেন নিশ্চুপ; কিন্তু সরকার পতনের ১৭ দিন পর দেশের চলমান বন্যা ইস্যুতে মুখ খুলতেই তোপের মুখে পড়েন জয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান লেখেন, কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে প্রলয়ের মতো কী এক বন্যা এসে দেশের পূর্বদিক একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। মানুষের অসহায়তার ছবি দেখে মনটা ভারি হয়ে আছে। মানুষই এর উপশম দিতে পারে। মানুষ এক হলে কেমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। একটা ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেন, এখন তো আমাদের দেশটা গড়ার নতুন সময়, এখন তো হাতে হাত রেখে কাজ করার জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত হচ্ছিলাম, রিবিল্ড, রিফর্ম বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আবার এক হলে এ বিপদ থেকেও মানুষকে উদ্ধার করতে পারব। ঢাকা থেকে যে কোনো সাহায্যের জন্য আমি প্রস্তুত, আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা- যতটা পারি আমরা সবাই এগিয়ে এলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

 

তবে জয়ার এই স্ট্যাটাসে খুশি নন নেটিজেনরা। কারণ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট নিয়ে চুপ থাকায় অভিনেত্রীর সমালোচনা করেছেন তারা। রক্তের বন্যা যখন বইছিল তখন আপনার মানবতা কোথায় ছিল-এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, আপনার প্রিয় ভারত এটা করেছে। একবারও তো বললেন না। বলবেনও না।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।

ইথার নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।

সাদিয়া আফরিন নামে এক তরুণী বলেছেন- ‘উজান থেকে পানি আসছে বলবেন না, বলুন ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানি, ভারত থেকে আসা পানি। ভারত কী আপনার ভাসুর যে তার নাম মুখে নিতে পারছেন না’?

প্রিন্স তুহিন লিখেছেন, ‘আপা আপনি ভারতে গিয়ে আরও ছবি করেন, গান করেন, নাচ করেন। দেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আপনারা এ দেশে জন্ম নিয়ে সারাজীবন এ দেশের বিরুদ্ধে গেছেন, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গেছেন। তাই আপনাকে এ সময়ে প্রয়োজন নেই’।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

রাকিব হাসান লিখেছেন, ‘আপনি না বললেও এ দেশর মানুষ এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আপনি গর্তে ছিলেন, গর্তেই থাকেন’।

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, ‘আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।’ জাবিন তাসনিম খান লিখেছেন, এখন বিজ্ঞাপন দিতে আসছে, এখানেও টাকা কামানোর ধান্ধা।

তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনার প্রিয় ভারতের কারণে এ বিপর্যয়। এটা বলার সাহস নেই অথচ দরদ কুড়ানো মার্কা পোস্ট দিচ্ছেন’। নজরুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘তারপরও তো ভারত গিয়েই নিজেকে বিলিয়ে দেন’। শাকিল আলম অরন্য বলেন, ‘তারপরও ভারতের দালালি করো তোমরা’।

আকিব ইফরান বলেন, ‘বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষেরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু’!

ইথার নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।’

হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘কত টাকা খাইছেন এসব ফাউন্ডেশন বিজনেসকে প্রমোট করতে? আপনারা টাকা ছাড়া কিছু করেন এখন আর বিশ্বাস হয় না। আমার দুই চাচা এইখানকার দুই কোম্পানিতে আছে, খোঁজ নিতে বেশি টাইম লাগবে না’।

প্রিয়া সেন বলেছেন, ‘এতদিন আইডি ডি-অ্যাক্টিভ রেখে সময় ও সুযোগ বুঝে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন কতিপয় কোম্পানির! সুযোগের সদ্ব্যবহার! সেই তো আবার আমাদের কলকাতায় এসে পড়ে থাকবেন। দেখলেন হাসিনার দালালি করে লাভ হলো না। শেষ স্ট্যাটাস ডিলিট করলেন কেন? মানুষের গালি শুনে? এ আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী? কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করেননি বা উপস্থিত হননি। এখন বন্যার্ত যারা আছেন তাদের আপনি না বললেও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য করছেন। সুবিধাবাদী অভিনেত্রী কুমিরের ক্রন্দন করতে এসেছেন’।

কাইফ হাসান লিখেছেন, ‘আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তখন আপনাদের বিবেক মৃত ছিল সেটাই আমাদের দুঃখের জায়গা। আপনারা ছিলেন অবৈধ খুনি হাসিনার ভোট চুরির ব্র্যান্ড প্রমোটার। আপনাদের আমরা ভালোবেসে প্রতারিত হয়েছি। আপনাদের কাছে কুকুরের জীবনের মূল্য যতটা, মানুষের মূল্য ঠিক ততটাই নগন্য। আপনাদের এ দেশের মানুষ ভালোবাসে আর আপনারা একটা দলের হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোটিং করেন। অথচ আপনাদের হওয়ার কথা ছিল প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। হয় তো জনগণ আপনাদের এই ধোঁকা ধরতে পেরেছে। তাই আপনাদের এত সহজে ক্ষমা করবে না। লিখেছেন সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু ভারত এ পানিটা দেশে ছেড়ে মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে সেই কথাটা বলেননি। আসলে আপনারা জন্মগতভাবেই বৈষম্য তৈরি করে রেখেছেন। সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আপনি জঘন্য কাজ জাতির সঙ্গে করেছেন এতে ভালোবাসাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আশা করি, কমেন্ট এবার ডিলিট করবেন না। জাতির জানা উচিত আপনারা কতটা আওয়ামী লীগ ছিলেন।

এসএ আখতার লিখেছেন, প্রথমত আপনি এবং চঞ্চল চৌধুরী ভারতীয় দালাল গোলাম, বাংলাদেশের শত্রু, আপনি শেখ হাসিনার দালাল।

শায়ের রহমান লিখেছেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়া এবং চঞ্চলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

জাকারিয়া মাসুদ মুন্না লিখেছেন- একজন ভারতীয় এজেন্ট যিনি সর্বদা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের চেয়ে ভারতীয় রাস্তার কুকুর নিয়ে বেশি চিন্তিত। এখন বন্যা দুর্গতদের মানবতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এটা কতটা হাস্যকর।

Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে রাবি ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৫ সালের ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

১৪ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি কমিটির সভায় এই সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। ঐ সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়েছে।

Header Ad

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস যাবৎ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম আক্তার ( ১৭) নামের এক গৃহবধুর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছিলেন হেলাল উদ্দিন সরদার নামের ( ২৭) এক যুবক।

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ৪নভেম্বর (সোমবার ) রাতে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মিম আক্তার। পরে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম। মীম আক্তার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে। আর অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদার একই এলাকার আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদার এর ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদারের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সরদার এর সাথে একই এলাকার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে মিম আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭মাসের মাথায় পারিবারিক কলহের জেরে গত ৭জুলাই দু’জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকেই হেলাল “মিম আক্তার” শিরোনামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে সেখানে মিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করতে থাকে। শুধু ফেসবুকই নয় হোয়াইটস অ্যাপস সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করে। এমনকি মিমের হোয়াইস আ্যপে এসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্যক্ত করে হেলাল । পরে মিম তার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে অভিমান করে সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষ পান করে (পোকামাকড় নিধনের বিষ) আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম।

মিমের বাবা আসাদুল প্রামানিক বলেন, আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই হেলাল নানাভাবে বিরক্ত ও উত্যক্ত করে আসছিল। তার নামে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতো। আমার মেয়েকেও হোয়াইটস অ্যাপে সেসব দিয়ে ভয়ভূতি ও হুমকি দিয়ে বলতো তোর জীবন শেষ করে দিবো। এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ে সবার অজান্তে ঘরে বিষ খায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটা মারা যায়। এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে আমার মেয়েকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। অপমান ও অভিমানে মেয়েটা আত্নহত্যা করেছে। হেলালসহ যারাই জড়িত থাক,তাদের সবার কঠিণ শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা করবো।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের পরিবারের লোকজন। গ্রামের বাড়ি আঁকনাতে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল এর সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টাও তা সম্বব হয়নি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, মিম বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘন্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি। পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) তারিকুল ইসলাম বলেন, মালশন গ্রামের মিম আক্তার নামের একজন বিষপান করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থান মারা গেছেন। যেতেতু নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা গেছেন যার কারনে সদর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।

Header Ad

সম্মেলন শেষে ঢাবি পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে তাবলিগের সাথীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী মহাসম্মেলন শেষে পুরো ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করেছে তাবলিগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শেষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তারা এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সম্মেলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পলিথিন, কাগজ, বোতলসহ অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী ইমরান জানান, “সম্মেলনে ব্যাপক জনসমাগমের কারণে প্রথম দিকে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তবে আমরা উদ্যোগ নিয়ে সম্মেলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পরে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য কাজ শুরু করি। আমাদের দেখে অন্য স্বেচ্ছাসেবীরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে যোগ দেন।”

এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন তার ফেসবুক প্রোফাইলে পরিষ্কার কার্যক্রমের কিছু ছবি শেয়ার করে লেখেন, “তাবলিগের ছেলেরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করছে। তাদের দায় এড়িয়ে না যাওয়ার বিষয়টি প্রশংসনীয়। সমাবেশ শেষ হবার পরপরই তারা কাজ শুরু করেছে।”

অন্যদিকে, মুহাম্মদ ইয়াসিন হাসান শাকিল তার মতামত ব্যক্ত করে লেখেন, “এই সুন্দর উদ্যোগটি ইসলামের দাওয়াহ হিসেবে কাজ করতে পারে। সুন্দর আচরণ এবং কাজ ইসলামের প্রতি মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।”

‘দ্য বিউটি অব ডিইউ ক্যাম্পাস’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ফেসবুক পেইজ থেকেও এই পরিষ্কার কার্যক্রমের কিছু ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে ক্যাপশনে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলিগের সাথীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, টি.এস.সি., কলা ভবন, কার্জন হল এবং আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করেছে।”

পোস্টটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তা শেয়ার করে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশংসা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
সম্মেলন শেষে ঢাবি পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে তাবলিগের সাথীরা
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হলেন সালাহউদ্দিন
আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত