শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকা জয়া বন্যা ইস্যুতে তোপের মুখে

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে কথা বলা তো দূরে থাক- গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেননি তিনি। ফেসবুকে সব সময় সক্রিয় থাকা এই অভিনেত্রী আন্দোলন চলাকালীন ছিলেন নিশ্চুপ; কিন্তু সরকার পতনের ১৭ দিন পর দেশের চলমান বন্যা ইস্যুতে মুখ খুলতেই তোপের মুখে পড়েন জয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান লেখেন, কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে প্রলয়ের মতো কী এক বন্যা এসে দেশের পূর্বদিক একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। মানুষের অসহায়তার ছবি দেখে মনটা ভারি হয়ে আছে। মানুষই এর উপশম দিতে পারে। মানুষ এক হলে কেমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। একটা ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেন, এখন তো আমাদের দেশটা গড়ার নতুন সময়, এখন তো হাতে হাত রেখে কাজ করার জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত হচ্ছিলাম, রিবিল্ড, রিফর্ম বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আবার এক হলে এ বিপদ থেকেও মানুষকে উদ্ধার করতে পারব। ঢাকা থেকে যে কোনো সাহায্যের জন্য আমি প্রস্তুত, আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা- যতটা পারি আমরা সবাই এগিয়ে এলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

 

তবে জয়ার এই স্ট্যাটাসে খুশি নন নেটিজেনরা। কারণ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট নিয়ে চুপ থাকায় অভিনেত্রীর সমালোচনা করেছেন তারা। রক্তের বন্যা যখন বইছিল তখন আপনার মানবতা কোথায় ছিল-এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, আপনার প্রিয় ভারত এটা করেছে। একবারও তো বললেন না। বলবেনও না।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।

ইথার নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।

সাদিয়া আফরিন নামে এক তরুণী বলেছেন- ‘উজান থেকে পানি আসছে বলবেন না, বলুন ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানি, ভারত থেকে আসা পানি। ভারত কী আপনার ভাসুর যে তার নাম মুখে নিতে পারছেন না’?

প্রিন্স তুহিন লিখেছেন, ‘আপা আপনি ভারতে গিয়ে আরও ছবি করেন, গান করেন, নাচ করেন। দেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আপনারা এ দেশে জন্ম নিয়ে সারাজীবন এ দেশের বিরুদ্ধে গেছেন, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গেছেন। তাই আপনাকে এ সময়ে প্রয়োজন নেই’।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

রাকিব হাসান লিখেছেন, ‘আপনি না বললেও এ দেশর মানুষ এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আপনি গর্তে ছিলেন, গর্তেই থাকেন’।

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, ‘আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।’ জাবিন তাসনিম খান লিখেছেন, এখন বিজ্ঞাপন দিতে আসছে, এখানেও টাকা কামানোর ধান্ধা।

তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনার প্রিয় ভারতের কারণে এ বিপর্যয়। এটা বলার সাহস নেই অথচ দরদ কুড়ানো মার্কা পোস্ট দিচ্ছেন’। নজরুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘তারপরও তো ভারত গিয়েই নিজেকে বিলিয়ে দেন’। শাকিল আলম অরন্য বলেন, ‘তারপরও ভারতের দালালি করো তোমরা’।

আকিব ইফরান বলেন, ‘বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষেরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু’!

ইথার নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।’

হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘কত টাকা খাইছেন এসব ফাউন্ডেশন বিজনেসকে প্রমোট করতে? আপনারা টাকা ছাড়া কিছু করেন এখন আর বিশ্বাস হয় না। আমার দুই চাচা এইখানকার দুই কোম্পানিতে আছে, খোঁজ নিতে বেশি টাইম লাগবে না’।

প্রিয়া সেন বলেছেন, ‘এতদিন আইডি ডি-অ্যাক্টিভ রেখে সময় ও সুযোগ বুঝে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন কতিপয় কোম্পানির! সুযোগের সদ্ব্যবহার! সেই তো আবার আমাদের কলকাতায় এসে পড়ে থাকবেন। দেখলেন হাসিনার দালালি করে লাভ হলো না। শেষ স্ট্যাটাস ডিলিট করলেন কেন? মানুষের গালি শুনে? এ আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী? কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করেননি বা উপস্থিত হননি। এখন বন্যার্ত যারা আছেন তাদের আপনি না বললেও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য করছেন। সুবিধাবাদী অভিনেত্রী কুমিরের ক্রন্দন করতে এসেছেন’।

কাইফ হাসান লিখেছেন, ‘আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তখন আপনাদের বিবেক মৃত ছিল সেটাই আমাদের দুঃখের জায়গা। আপনারা ছিলেন অবৈধ খুনি হাসিনার ভোট চুরির ব্র্যান্ড প্রমোটার। আপনাদের আমরা ভালোবেসে প্রতারিত হয়েছি। আপনাদের কাছে কুকুরের জীবনের মূল্য যতটা, মানুষের মূল্য ঠিক ততটাই নগন্য। আপনাদের এ দেশের মানুষ ভালোবাসে আর আপনারা একটা দলের হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোটিং করেন। অথচ আপনাদের হওয়ার কথা ছিল প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। হয় তো জনগণ আপনাদের এই ধোঁকা ধরতে পেরেছে। তাই আপনাদের এত সহজে ক্ষমা করবে না। লিখেছেন সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু ভারত এ পানিটা দেশে ছেড়ে মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে সেই কথাটা বলেননি। আসলে আপনারা জন্মগতভাবেই বৈষম্য তৈরি করে রেখেছেন। সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আপনি জঘন্য কাজ জাতির সঙ্গে করেছেন এতে ভালোবাসাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আশা করি, কমেন্ট এবার ডিলিট করবেন না। জাতির জানা উচিত আপনারা কতটা আওয়ামী লীগ ছিলেন।

এসএ আখতার লিখেছেন, প্রথমত আপনি এবং চঞ্চল চৌধুরী ভারতীয় দালাল গোলাম, বাংলাদেশের শত্রু, আপনি শেখ হাসিনার দালাল।

শায়ের রহমান লিখেছেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়া এবং চঞ্চলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

জাকারিয়া মাসুদ মুন্না লিখেছেন- একজন ভারতীয় এজেন্ট যিনি সর্বদা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের চেয়ে ভারতীয় রাস্তার কুকুর নিয়ে বেশি চিন্তিত। এখন বন্যা দুর্গতদের মানবতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এটা কতটা হাস্যকর।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত