বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, ক্ষোভ প্রকাশ সৃজিতের

অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আর তাতেই হুমকির শিকার হতে হয় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জবাব দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জী।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাকে হুমকি দেয়ার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করলেন। এরপর মিমির পাশে দাড়াঁলেন সৃজিত।

অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

হুমকি দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।’

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, ‘আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?’

এদিকে এরকম একটি কমেন্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখার্জী লিখেছেন, ‘সেলেবদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।’

তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে। মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

Header Ad

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভা‌বিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তার যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ হ‌বে ৪ বছর।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আহতদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য চেক হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বাংলাদেশি প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবারের সভায় কমিটি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অফিস স্পেস এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি এবং স্মারক সংরক্ষণ করা হবে এর মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বলেন, সামান্য পরিমাণ অর্থের অনুদানের দলিল করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করতে হবে। সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করতে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। সরকারের চিকিৎসার খরচ ছাড়াও ফাউন্ডেশন আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় এ ফাউন্ডেশন। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

বক্তব্য রাখছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস বলেন, কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌঁছান সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন
শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস
নওগাঁর নিতপুর সীমান্ত থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গুলি, টেকনাফে আতঙ্ক
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
জিডির বাধ্যবাধকতা থাকছে না হারানো এনআইডি তুলতে
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬৫ জন
দিনব্যাপী মেরামত শেষে প্রস্তুত মেট্রোরেলের মতিঝিল রুট
সকালে উঠে সামনে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন! উপকার জানলে অবাক হবেন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে ৬৫ নির্ধারণের প্রস্তাব
শেখ হাসিনাসহ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিটিভির খবর বেসরকারি টিভিগুলোকে প্রচার করতে হবে না: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়ে গম্ভীর বললেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় অনুমোদন পেল ৪ প্রকল্প
রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক