সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব: মনির খান

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনো আছি, এমনকি আগামীতেও থাকব বলে জানিয়েছেন দেশের সংগীতশিল্পী মনির খান। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী।

এদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সাবেক সহ-সম্পাদক বলেন, আমি ছাত্রজীবন, সেই কলেজজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই সময় দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলে ছিলাম। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হই। তারপর থেকে বিএনপির সঙ্গেই আছি।

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটা পর্যায়ে গিয়ে দফায় দফায় হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে আন্দোলন আরও উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশে। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে নামেন অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, শোবিজ তারকা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় মাঠে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে দেখা যায় মনির খানকে।

এই ব্যাপারে এ গায়ক বলেন, আমি আমার বিবেকের তাগিদে আন্দোলনে গিয়েছি। হতে পারি আমি একজন গায়ক, কিন্তু আমারও তো পরিবার রয়েছে। আমিও তো কোনো সন্তানের বাবা, আমিও তো কারও ভাই। দেশবাসী দেখেছেন, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে এবং এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কীভাবে নির্বাচারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা ও গণগ্রেপ্তারও দেখেছি আমরা। যা সহ্য করার মতো ছিল না। পত্রিকা ও টেলিভিশনে চোখ রাখতেই হৃদয়টা দুমড়ে-মুচড়ে যেত। সেই তাড়না থেকে আন্দোলনে গিয়েছি আমি।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষেরই কিছু মান-অভিমান থাকে। সেদিক থেকে আমারও কিছু অভিমান ছিল। ওই সময় হয়তো আমি বলেছি দল থেকে অব্যাহতি নিলাম। কিন্তু আপনারা যদি একটু খেয়াল করে দেখেন, আমি কিন্তু পরবর্তীতে একবারের জন্যও অন্য কোনো দলে যোগ দেইনি। বিভিন্ন দল থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে, অনেক ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তাতে একবারও কোনো মোহ কাজ করেনি আমার মধ্যে। এমনকি নিজের নীতি ও নৈতিকতা পরিবর্তন করিনি।

তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ গায়ক বলেন, আমি সবসময় আমার সততা, নীতি ও নৈতিকতা এবং আদর্শে বিশ্বাসী। গত পাঁচ-ছয় বছরে একবারের জন্যও আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াইনি। এখনো সেই আদর্শে অটুট। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি―বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।

এদিকে মনির খান একসময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বিএনপির সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলটির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে আসেন তিনি। ওই সময় জানা যায়―ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে দলের চিঠি পেয়ে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। পরে দলটি থেকে মনোনয়ন চূড়ান্ত না করায় নানা মুখি চাপের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সরে আসেন এ গায়ক।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এ শিল্পী নিয়মিত গান রেকর্ডিং ও প্রকাশের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি