বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব: মনির খান

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনো আছি, এমনকি আগামীতেও থাকব বলে জানিয়েছেন দেশের সংগীতশিল্পী মনির খান। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী।

এদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সাবেক সহ-সম্পাদক বলেন, আমি ছাত্রজীবন, সেই কলেজজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই সময় দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলে ছিলাম। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হই। তারপর থেকে বিএনপির সঙ্গেই আছি।

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটা পর্যায়ে গিয়ে দফায় দফায় হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে আন্দোলন আরও উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশে। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে নামেন অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, শোবিজ তারকা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় মাঠে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে দেখা যায় মনির খানকে।

এই ব্যাপারে এ গায়ক বলেন, আমি আমার বিবেকের তাগিদে আন্দোলনে গিয়েছি। হতে পারি আমি একজন গায়ক, কিন্তু আমারও তো পরিবার রয়েছে। আমিও তো কোনো সন্তানের বাবা, আমিও তো কারও ভাই। দেশবাসী দেখেছেন, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে এবং এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কীভাবে নির্বাচারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা ও গণগ্রেপ্তারও দেখেছি আমরা। যা সহ্য করার মতো ছিল না। পত্রিকা ও টেলিভিশনে চোখ রাখতেই হৃদয়টা দুমড়ে-মুচড়ে যেত। সেই তাড়না থেকে আন্দোলনে গিয়েছি আমি।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষেরই কিছু মান-অভিমান থাকে। সেদিক থেকে আমারও কিছু অভিমান ছিল। ওই সময় হয়তো আমি বলেছি দল থেকে অব্যাহতি নিলাম। কিন্তু আপনারা যদি একটু খেয়াল করে দেখেন, আমি কিন্তু পরবর্তীতে একবারের জন্যও অন্য কোনো দলে যোগ দেইনি। বিভিন্ন দল থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে, অনেক ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তাতে একবারও কোনো মোহ কাজ করেনি আমার মধ্যে। এমনকি নিজের নীতি ও নৈতিকতা পরিবর্তন করিনি।

তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ গায়ক বলেন, আমি সবসময় আমার সততা, নীতি ও নৈতিকতা এবং আদর্শে বিশ্বাসী। গত পাঁচ-ছয় বছরে একবারের জন্যও আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াইনি। এখনো সেই আদর্শে অটুট। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি―বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।

এদিকে মনির খান একসময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বিএনপির সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলটির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে আসেন তিনি। ওই সময় জানা যায়―ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে দলের চিঠি পেয়ে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। পরে দলটি থেকে মনোনয়ন চূড়ান্ত না করায় নানা মুখি চাপের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সরে আসেন এ গায়ক।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এ শিল্পী নিয়মিত গান রেকর্ডিং ও প্রকাশের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ও তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৩টা ৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুকে তনি লেখেন, "সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।"

কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর ও পরে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় নিজের ফেসবুকে তনি জানিয়েছিলেন, "জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও অনেক কষ্ট করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে এসেছি। বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।"

তনি তার ছেলের জন্য স্বামীর জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাদাৎ হোসাইন আর ফিরে আসেননি।

শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তনির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হলেও তনি সবকিছুর সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তনি ভালোবেসে শাহাদাৎকে বিয়ে করেন। শুরুতে পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে সব মিটমাট করে নেন তারা।

Header Ad
Header Ad

ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন দু-একজন করে ধরা পড়ছেন। আজ মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো এক দিনে ধরা যায় না। অনেকে লুকিয়ে আছে। খুঁজে খুঁজে একে একে তাদের সবাইকে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ভূমিকার পরও কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক নবীন পুলিশ সদস্য, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজ মতিউরকে ধরা হয়েছে। অনেকেই লুকিয়ে আছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত, যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে তথ্য-প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পরও এক ওসি পালিয়ে গেছেন।'

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাশ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানাই। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা থাকলে সেটি পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দিন।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি