বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব: মনির খান

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনো আছি, এমনকি আগামীতেও থাকব বলে জানিয়েছেন দেশের সংগীতশিল্পী মনির খান। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী।

এদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সাবেক সহ-সম্পাদক বলেন, আমি ছাত্রজীবন, সেই কলেজজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই সময় দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলে ছিলাম। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হই। তারপর থেকে বিএনপির সঙ্গেই আছি।

সংগীতশিল্পী মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটা পর্যায়ে গিয়ে দফায় দফায় হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে আন্দোলন আরও উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশে। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে নামেন অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, শোবিজ তারকা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় মাঠে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে দেখা যায় মনির খানকে।

এই ব্যাপারে এ গায়ক বলেন, আমি আমার বিবেকের তাগিদে আন্দোলনে গিয়েছি। হতে পারি আমি একজন গায়ক, কিন্তু আমারও তো পরিবার রয়েছে। আমিও তো কোনো সন্তানের বাবা, আমিও তো কারও ভাই। দেশবাসী দেখেছেন, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে এবং এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কীভাবে নির্বাচারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা ও গণগ্রেপ্তারও দেখেছি আমরা। যা সহ্য করার মতো ছিল না। পত্রিকা ও টেলিভিশনে চোখ রাখতেই হৃদয়টা দুমড়ে-মুচড়ে যেত। সেই তাড়না থেকে আন্দোলনে গিয়েছি আমি।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষেরই কিছু মান-অভিমান থাকে। সেদিক থেকে আমারও কিছু অভিমান ছিল। ওই সময় হয়তো আমি বলেছি দল থেকে অব্যাহতি নিলাম। কিন্তু আপনারা যদি একটু খেয়াল করে দেখেন, আমি কিন্তু পরবর্তীতে একবারের জন্যও অন্য কোনো দলে যোগ দেইনি। বিভিন্ন দল থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে, অনেক ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তাতে একবারও কোনো মোহ কাজ করেনি আমার মধ্যে। এমনকি নিজের নীতি ও নৈতিকতা পরিবর্তন করিনি।

তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ গায়ক বলেন, আমি সবসময় আমার সততা, নীতি ও নৈতিকতা এবং আদর্শে বিশ্বাসী। গত পাঁচ-ছয় বছরে একবারের জন্যও আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াইনি। এখনো সেই আদর্শে অটুট। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি―বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।

এদিকে মনির খান একসময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বিএনপির সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলটির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে আসেন তিনি। ওই সময় জানা যায়―ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে দলের চিঠি পেয়ে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। পরে দলটি থেকে মনোনয়ন চূড়ান্ত না করায় নানা মুখি চাপের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সরে আসেন এ গায়ক।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এ শিল্পী নিয়মিত গান রেকর্ডিং ও প্রকাশের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Header Ad

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।

অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।

ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী

সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দুই সাংবাদিকের নামের পাশে সহকারী প্রেস সচিব পদে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর গ্রেড-১ ভুক্ত ৫৩,০৬০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।’

বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

মানহানিকর এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করার অভিযোগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের পক্ষে এর প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মো. শামসুর রহমান এবং টেলিভিশনটির সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ রাফিকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় ওরিওন গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন বারবার একটি বিভ্রান্তিকর ও সম্পূর্ন অসত্য প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে। ওই প্রতিবেদনে মিথ্যা অভিযোগ করে বলা হয় যে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়েও ওরিয়ন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।

ওরিয়ন গ্রুপ দৃঢ়ভাবে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। এ কোম্পানি সবসময় জাতীয় নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশের আরও শতাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের মতো একই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ২০১১ সাল থেকে ওরিয়ন তাদের ছয়টি অত্যাধুনিক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সম্পূর্ণরূপে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৬.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়ন গ্রুপ নিশ্চিত করছে যে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সমন্বয়ে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অর্থায়ন করা হয়েছে। ব্যবসায়িক ঋণ ওরিয়ন ধারাবাহিকভাবে সময়মতো পরিশোধ করে চলছে।

এ ছাড়া দুবাই ও চীনের দুটি বিদেশি কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ওরিয়নের অংশীদারত্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং কোম্পানি দুটির কোনোটিই ওরিয়নের চেয়ারম্যান বা কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বহিরাগত রাজনৈতিক মালিকানা নেই।

এসব মিথ্যা দাবি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার লঙ্ঘনও। যাচাই না করে প্রমাণ ছাড়া এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম নষ্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওরিয়ন গ্রুপ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের এই উদ্যোগ নিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু
ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচে চালু হচ্ছে কাজিপাড়া স্টেশন
এস আলম গ্রুপের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষ, আহত ১৫