নেসলে বাংলাদেশ থেকে অবসর নিয়েছেন নকিব খান
বাংলাদেশের ব্যান্ড কিংবদন্তী ও রেঁনেসা ব্যান্ডের বিখ্যাত ভোকাল নকিব খানের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটেছে নেসলে বাংলাদেশে।
তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল আমার কর্মজীবন শেষ হয়েছে। ২৭ বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানে শুরুর পর থেকে সুসংঘবদ্ধ ও ব্যবসায় উন্নতির ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় আমাদের ১শ গুণেরও বেশি লাভ হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।’
‘আমিও নিয়মিত কর্মকর্তা থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছি।’
নিজের মনের কথা এভাবেই বাংলাদেশের ব্যান্ড তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে সেরাদের একজন নকিব খান লিখেছেন-‘আমি এখন অত্যন্ত স্পর্শকাতর, বিশেষভাবে সম্মানিত ও অভিভূত বোধ করছি।’
‘বাংলাদেশ, সুইজারল্যান্ডসহ আরো অনেক দেশে আমার শত, শত সহকর্মীর ভালোবাসা, সমর্থন, সহযোগিতা ও সম্মানে আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের সকল ব্যবসায়িক অংশীদার, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো, গণমাধ্যমের কাছ থেকেও আমি এই অনুভূতিগুলোই লাভ করেছি এবং সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।’
‘আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এই ক্ষণে নেসলে বাংলাদেশের বাইরে আমাদের বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অংশীদারদের। তারা আমাকে খুবই সম্মানিত করেছেন।’
‘নেসলেতে আমার কর্মকালীন পুরো সময়ে সব আনন্দ, কান্না ও বিজয়ের স্মৃতিগুলো স্বযত্নে তাদের মতো, তাদের নিয়ে আমি লালন করব।’
নকিব খানের লেখায় আরো আছে, ‘কেপিএমজে (একটি বিখ্যাত ব্রিটিশ-ডাচ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান), ফিলিপিনস, লিন্ড (বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাস কম্পানি, মূল প্রতিষ্ঠানটি জার্মান) থেকে নেসলে বাংলাদেশে আমার মোট ৩৮ বছরের কর্মজীবন ভালোবাসার সঙ্গে আমার মনের গভীরে লালিত হবে।’
বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় গানের গায়ক জানিয়েছেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য এই সুযোগটিকে নিয়েছি। আমরা সবাই জানি-সবকিছুরই শেষ আছে, আবার পরিবর্তনই জীবনে নিত্য। সময়ের পরিবর্তনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে চলতে হয় ও জীবন বয়ে চলে। আমিও তার ব্যতিক্রম হতে পারিনি। জীবনের প্রতিটি দিন আমি একটি নতুন অধ্যায়ের নব ভোরের জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠি। দয়া করে আপনাদের প্রার্থনাগুলোকে আমি ও আমার পরিবারকে রাখবেন। আল্লাহ আপনাদের সকলের সহায় হোন।’
ওএস।