মৃত্যুর ৩১ বছর পর একুশে পদক
‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো’, ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, ‘কাল সারারাত ছিল স্বপ্নের রাত’, ‘আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’ গানগুলোর মত আরও অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতি-কবি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবু।
৩১ পেরিয়ে ৩২ বছর হতে চললো তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তার সহকর্মীরা আফসোস করে আসছিলেন একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সম্মান যেন দেয়া হয় তাঁকে। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হলো। মৃত্যুর ৩১বছর পর হলেও সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছেন নজরুল ইসলাম বাবু। তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হলো।
মৃত্যুর এতো বছর পর এই গীতি-কবিকে একুশে পদক দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন গানের মানুষ ও সংগীতপ্রেমীরা।
নজরুল ইসলাম বাবু ১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের চরনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বজলুল কাদের ছিলেন স্কুলশিক্ষক। মা রেজিয়া বেগম গৃহিণী।
নজরুল ইসলাম বাবু ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্রনেতা হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। একদিন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তৎকালীন সামরিক জান্তা। এক পর্যায়ে তিনি আত্মগোপন করে ভারতে চলে যান। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
দেশ স্বাধীন হলে তিনি আবার লেখাপড়া, সাহিত্য ও সংগীতচর্চা শুরু করেন। সিনেমার প্রযোজনাও করেন তিনি।
১৯৯০ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন।
এএম/ এপি/