রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ | ৯ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শাহরুখ খান

শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) দলের খেলা দেখতে আহমেদাবাদে হাজির ছিলেন কিং খান। সেখানে অসুস্থ বোধ করায় শহরের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএলের প্লেঅফ ম্যাচ দেখতে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। গ্যালারিতে বসে দলের জয় উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু এরপরই প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

কেডি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ডিহাইড্রেশনের কারণে মঙ্গলবার রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিং খান। এরপর বুধবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আহমেদাবাদের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির উপরে থাকায় গরম সহ্য হয়নি শাহরুখের। এরপরই সকাল থেকে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

উল্লেখ্য, পাঠান, জওয়ান ও ডাঙ্কি নামে সম্প্রতি ভক্তদের তিনটি সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাহরুখ খান। আগামীতে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়। এর বাইরে বর্তমানে তিনি তার আইপিএল টিম, কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Header Ad

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৩ জুন। বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার প্লাটিনাম জয়ন্তী। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই রচিত হয়েছে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ৭৫ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বর্তমান ক্ষমতাসীন এ দলটি।

গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক।

পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে এরই মধ্যে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এ রাজনৈতিক দলটি। এটিই ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল।

দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হন মওলানা হামিদ খান ভাসানী। রোজ গার্ডেনে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর মওলানা ভাসানীকে একটি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি অন্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে ৪০ জনের একটি কমিটি ঘোষণা করেন। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। সহসভাপতি করা হয় আতাউর রহমান খান, আহমেদ আলী খান, আলী আমজাদ খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খানকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে আটক থাকলেও, আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাকে। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নামকরণ করা হয় ‘আওয়ামী লীগ’।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির যা কিছু অর্জন এবং বাংলাদেশের যা কিছু উন্নয়ন, সবটার মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন। এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে, প্রতিষ্ঠা করেছে গণতন্ত্র।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম স্বপ্ন দেখেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ভাবেন বঙ্গবন্ধু। তিনি মনে করতেন পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আর দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।

এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে; সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে। যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনও আসে নাই। তাই যারা বাইরে আছেন তারা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’

’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ পেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা পরবর্তীতে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে ২৩ জুন। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দেয় এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে দলটাকে আবারও ক্ষমতায় বসায় জনগণ। সেই থেকে টানা ৪ বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে।

গত ১৫ বছরে নিজের অসামান্য নেতৃত্বগুণে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সেই উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। নব উদ্যোমে সংগঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এই দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। তার আপোষহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের জাল ছিঁড়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’; দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা।

আজ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। ৭৫ বছরে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সাফল্যের জয়গানে মুখরিত। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা।

রোববার (২৩ জুন) ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এরই মধ্যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। প্লাটিনাম জয়ন্তী ঘিরে কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, রোববার সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এরপর সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল। এ দলের সদস্যরা হলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা বা মহানগর, উপজেলা বা থানা, পৌর বা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখাসহ সব স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কেটে ফেলা হলো গোপালগঞ্জের সেই কথা বলা আলোচিত গাছ

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলোচিত ‘কথা বলা গাছ’টি কেটে ফেলা হয়েছে। এতে অবসান ঘটল অপপ্রচার ও প্রতারণার ব্যবসার।

রাঘদী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এ গাছটি কেটে ফেলা হয়। এর আগে কথা বলছে গাছ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ আসতে থাকে।

গাছটিকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রাম। ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সবুর মিয়ার বাগানের একটি গাছ কথা বলছে এমন অপপ্রচারের ডালপালা ছড়ায় চারিদিকে। তা এলাকার গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ নানা মানতও করতে শুরু করেন।

গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন তারা। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ শনিবার দুপুরে রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুলের উপস্থিতিতে কেটে ফেলা হয় আলোচিত গাছটি।

গাছটি কাটার সময় ভিড় করেন স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। গাছটি কাটার সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অপপ্রচারকে কাজে লাগিয়ে এই গাছ দিয়ে কেউ যাতে ব্যবসা করতে না পরে সেজন্য গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুল।

এ গাছ কাটার মধ্য দিয়ে সব গুজব ও অপপ্রচারের অবসান ঘটলো এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

ইরানে জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

সরকারের সমালোচনা করে গান করায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল ইরানের জনপ্রিয় র‌্যাপার তোমাজ সালেহিকে। কিন্তু ইরানের সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছেন। শনিবার (২২ জুন) সালেহির আইনজীবী আমির রাইসিয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হ্যান্ডেলে আমির রাইসিয়ান বলেন, ইরানের সুপ্রিম কোর্ট সালেহির মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে তার বিরুদ্ধে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ‘অপূরণীয় একটি বিচারিক ত্রুটি’ রুখে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত এপ্রিলে সালেহিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে সহায়তা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দাঙ্গার আহ্বানসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালে ইরানে নৈতিক পুলিশের নির্যাতনে মারা যায় কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। তার মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিক্ষোভের সময় ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের সমালোচনা করে গান করেছিলেন। ওই বছরের অক্টোবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সালেহিকে গ্রেপ্তারের পর এক বছর ২১ দিন তাকে জেলে রাখা হয়। ওই সময়ে তাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ
কেটে ফেলা হলো গোপালগঞ্জের সেই কথা বলা আলোচিত গাছ
ইরানে জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যুদণ্ড বাতিল
দিল্লি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় বিষধর সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের
হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাবাঘরের চাবিরক্ষক সালেহ বিন জাইন আর নেই
নওগাঁয় বেশি দামে বাসের টিকিট বিক্রি করায় কয়েকটি পরিবহনকে জরিমানা
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মাহার পুরস্কার কেন ফিরিয়ে নিল আমেরিকান সংস্থা?
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
বাস কেড়ে নিল লেগুনা চালকের প্রাণ
মারা গেলেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলের মা
সিলেট বিভাগের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বিয়ের মাইক্রোবাস খালে পড়ে নিহত ৮
ছাগলকাণ্ডের সেই এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর কোথায়, জানে না কেউ
দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে নওগাঁর বিখ্যাত আম্রপালি
বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর গাড়ি বিকল, যানবাহনের দীর্ঘ লাইন
রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব নিয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক সই