আবারও একই সিনেমায় দুই বন্ধু অ্যাফ্লেক ও ডেমন
একত্রে অভিনয় করতে সত্যিই ভালোবাসেন বেল অ্যাফ্লেক ও ম্যাট ডেমন। মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক বেন অ্যাফ্লেক দুইবারের অস্কার জয়ী। তিনি জেনিফার লোপেজের স্বামী। ‘গুড উইল হান্টিং’ নামের ১৯৯৭ সালের সিনেমার চিত্রনাট্য তিনি ও ম্যাট ডেমন মিলে লিখে ‘দ্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়াড ফর বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিন প্লে’ জয় করেছেন। এই সিনেমায় তারা দুজন প্রধান দুটি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমার মাধ্যমে হলিউডের দুই নায়কের একত্রে অভিনয়ের শুভ সূচনা হয়েছিল।
ফোবর্সের বিচারে সবচেয়ে বেশি টাকা উপার্জন করা হলিউড তারকাদের একজন ম্যাট ডেমন। উত্তর আমেরিকার হলগুলো থেকে তিনি যেসব সিনেমায় অভিনয় করেন, সেগুলো গড়ে ৩.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। ফলে তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে আয় এনে দেওয়া তারকাদের অন্যতম। একবারের অস্কারজয়ী।
এই দুই তারকার আরও মিল রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে জন্মেছেন। একে-অন্যকে চেনেন ৪০ বছরের বেশি। নতুন সিনেমা ‘এয়ার’-এ একত্রে অভিনয় করেছেন। আগামী ৫ এপ্রিল মুক্তি পাবে বিশ্বের হলগুলোতে। এয়ার সিনেমার কাহিনি হলো নাইকির সঙ্গে মাইকেল জর্ডানের অংশীদারিত্ব। এই সিনেমার শুরুতে দুজনেই বলেছেন, তাদের একত্রে অভিনয়ের আবার সুযোগ এলো।
সিএসবি নিউজকে অ্যাফ্লেক বলেছেন, ‘আমরা একত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। আমরা একত্রে ঘুরতে ও অবসর কাটাতে বেরিয়ে পড়ি ও বেশি সময় একসঙ্গেই কাটাই। আমরা তখন থেকে বন্ধু থাকতে পারলে এই পুরো সময়টি (সিনেমার) কেন নয়?’
‘আমরা একত্রে আমাদের ৫০ বছরে পৌঁছেছি’, ডেমন যোগ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘আপনারা আমাদের শেষ পর্যন্ত দেখতে পারবেন।’
একসঙ্গে এই দুই বন্ধু একটি প্রযোজনা কোম্পানি শুরু করেছেন। সেটির নাম ‘আর্টিস্ট ইকুইলিটি’। তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা এখানেও উপভোগ করে চলেছেন।
‘এটি হলো আমাদের মতো এবং যেভাবে আমরা এই বিষয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম সেভাবে করা’, অ্যাফ্লেক ‘এয়ার’ নির্মাণের বিষয়ে বলেছেন। তিনিই সিনেমাটির পরিচালক। তাদের প্রতিষ্ঠানটি এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক। আরও আছে আমাজন স্টুডিওস, স্কাইড্যান্স স্পোটর্স, মানডালা পিকচারর্স।
বেন অ্যাফ্লেক আরও বলেছেন, ‘আমি একে ভালোবেসেছি। তখন থেকে আমি প্রতিদিন সিনেমাটি মিস করছি। এটি ছিল সেরা, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই আমার জীবনের কাজের অভিজ্ঞতার নির্যাস।’
তাদের ‘এয়ার’ সিনেমায় বেন অ্যাফ্লেক নাইকির প্রতিষ্ঠান ফিল নাইট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর নাইকির বিখ্যাত এক্সিটিউটিভ সানি ভ্যাকারো’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেমন। তিনিই নাইকিতে মাইকেল জর্ডানকে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন।
এই সিনেমায় মাইকেল জর্ডানেরও আগ্রহ ছিল। তিনি চেয়েছিলেন, ‘ভায়োলা ডেভিস’ যেন তার মায়ের চরিত্রটি করেন, জানিয়েছেন অ্যাফ্লেক।
ওএফএস/