‘পিনোকিও’তে গিয়েরমো দেল তোরোর তৃতীয় অস্কার
বিশ্বখ্যাত মেক্সিকান চলচ্চিত্র নিমাতা গিয়েরমো দেল তোরো’র হাতে পড়ে বিশ্ববিখ্যাত কাহিনী ‘পিনোকিও’ ‘সেরা অ্যানিমেটেড ফিচার ছবির অস্কার’টি জয় করেছে। লাতিন আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তি মেক্সিকো তাদের গৌরবের পালকে অবিশ্বাস্য মেধাবী একজন নির্মাতাকে পেল, যিনি এই নিয়ে তিনটি অস্কার জয় করেছেন।
‘দি অ্যাকভেঞ্চারস অব পিনোকিও’ নামের বিশ্বখ্যাত এই উপন্যাসটি ১৯৮৩ সালের, লেখক ইতালির কার্লো কোল্লোদি। তার বইটিকেই মূল ধরে, সেই কাহিনী অবলস্বনে ২০০২ সালের সংস্করণে ক্রিস গ্রিমলি’র ইলাসট্রেশনকে নিয়ে সেই অনুসারে ছবিটি বানিয়েছেন গিয়েরমো দেল তোরো।
পিনোকিও নামের এই ক্লাসিক কাহিনীটি ৫৮ বছরের দেল তোরোর সর্বসাম্প্রতিক অবিশ্বাস্য মেধাবী নির্মাণ। পিনোকিও তার একটি কাঠের পাপেট। এই পুতুলটির স্বপ্ন হলো, একটি সত্যিকারের বালক হবে। সেটিই তার ‘পিনোকিও’র কাহিনী। নেটফ্লিক্স ইনকরপোরেশনের এই ছবিটির সেট ইতালির একটি রূপকথার ভুবনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ‘দি শেপ অব ওয়াটার’ ছবির জন্য গিয়েরমো দেল তোরো ‘সেরা ছবি’ ও ‘সেরা পরিচালক’র অস্কার দুটি জয় করে তার জীবনের প্রাপ্তির খাতা মিটিয়েছেন।
মেক্সিকোর গুয়াদালাখারা নামের শহর, যার মারিয়াচি নামের নিজস্ব বিখ্যাত সুর ও গানের জন্য খ্যাতি আছে, এই শহরটিতেই জন্মেছেন দেল তোরো। তার কাজগুলো তাদের দেশীয় রূপকথা, নিজস্ব সুরের এবং গানের মিশেলের জন্য বিখ্যাত। তিনি ভৌতিক মোটিফগুলো ব্যবহার করেন। রোমান ক্যাথলিজমের থিমগুলো গিয়েরমো দেল তোরো’র কাজের আরেকটি শক্তি ও বিকাশ। অদ্ভুত হাস্যোদীপক কল্পনার ভুবনে ঘোরেন তিনি। তিনি স্প্যানিশ ও ইংরেজি দুই ভাষাই তার কাজে ব্যবহার করেন।
অস্কার ভাষণে গিয়েরমো দেল তোরো বলেছেন, “পিনোকিও’ অ্যামিমেশনটি পরের ধাপটিতে নেবার জন্য তৈরি ছিল। আমরা সবার এর (অস্কার) জন্য প্রস্তুত ছিলাম। দয়া করে আমাদেরকে অ্যামিমেশনকে কর্থাবাতায় ধরে রাখার জন্য সাহায্য করুন।’
ওএফএস/এএস