ভারতকে তৃতীয় গ্র্যামি উৎসর্গ করলেন রিকি কেজ
ছবি: স্টুয়ার্ট কোপল্যান্ড ও রিকি কেজ
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ৬৫তম আসরে তৃতীয় গ্র্যামি জিতলেন বিশ্বখ্যাত সুরকার রিকি কেজ। তিনটি গ্র্যামি জিতে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই সুরকার। নিজের তৃতীয় গ্র্যামি মাতৃভূমি ভারতকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
বিশ্বের ৩১টি দেশে পারফর্ম করেছেন রিকি কেজ। জাতিসংঘের নিউইয়র্কের সদর দপ্তর ও জেনেভা কার্যালয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। ইউএনএইচসিআর তাকে ২০২২ সালে তাদের শুভেচ্ছা দূত ঘোষণা করে। ইউএনসিসিডি’র ভূমি দূতও ছিলেন। কাজ করেছেন ইউনিসেফে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস নেটওয়ার্কের দূত। ২০২০ সালে জিকিউ ম্যাগাজিনের জিকিউ হিরো।
গেল বছর নিজের ‘ডিভাইন টাইডস’ অ্যালবামের জন্য জিতেন ৬৪তম গ্র্যামি। এবার একই অ্যালবাম নিয়ে ‘বেস্ট ইমপ্রেসিভ অডিও অ্যালবাম বিভাগ’-এ জিতেছেন পর, পর দ্বিতীয় ও ৬৫তম আসর। প্রথমটি জয় করেছেন ২০১৫ সালে ৫৭তম আসরে তার ‘উইন্ডস অব সামসারা’ অ্যালবামের জন্য ‘বেস্ট নিউ এজ অ্যালবাম বিভাগে। এটি তার ১৪তম স্টুডিও অ্যালবাম, এক নম্বরে ছিল মার্কিন বিলবোর্ডের নিউ এজ অ্যালবাম বিলবোর্ডে।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত কোনো মার্কিনির এই প্রথম কীর্তি। ২০১৬ সালের গ্র্যামি জয় করা ‘গ্রেস’ অ্যালবামে তিনি কিবোর্ডবাদক ছিলেন। ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ সালে বের করেছেন তার এই অ্যালবাম, যার পুরো নাম ‘শান্তি সামসারা-ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফর এনভায়রমেন্টাল কনশাসনেস’, জাতিসংঘের জলবায়ুর অভিঘাত সম্মেলনে তার পৈত্রিক জন্মভূমির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফরাসি রাষ্ট্রপতি ফ্রসোয়াও লঁদ। এরপর থেকে মাসের পর মাস পরিবেশ ও সংরক্ষণের জন্য অ্যালবামটি নিয়ে সফর করেছেন কেজ। গিয়েছেন কিরিবার্তিতেও। তাদের তিনবারের সাবেক প্রেসিডেন্ট অনোতে টংয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন ও তার সঙ্গে গান তৈরি করেছেন। ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচনা সুরটি কেজের। ২০১৬ সালে ভারতের সেভ দ্য চিলড্রেনের শুভেচ্ছা দূত নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার তার অ্যালবামটি সেরা নিমগ্ন অডিও অ্যালবাম শাখায় গ্র্যামি জয় করেছে। এখন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুভিত্তিক এই সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক তার তৃতীয় গ্র্যামিটি ভারতের সম্মানে উৎসর্গ করেছেন। জানিয়েছেন, অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন ও বাক্যহারা হয়ে গিয়েছেন তিনি। বিশ্বের নানা দেশের শিল্পীরা তার এই ডিভাইন টাইডসে গান করেছেন। প্রাকৃতিক বিশ্বের সৌন্দর্য্যরে প্রতি এই অ্যালবামটি তাদের সবার একটি নিবেদন। এই অ্যালবামে নয়টি গান ও আটটি মিউজিক ভিডিও আছে। ভারতের হিমালয় অংশ থেকে স্পেনের বরফের বনভূমিগুলোতে চিত্রিত ও তাদের সৌন্দয্যের অবগাহন গানে এবং সুরে।
রিকি কেজই ভারতের সবচেয়ে কম বয়সের গ্র্যামি জয়ী। তার দেশের চতুর্থ। তার সঙ্গে এই অ্যালবামে গ্র্যামি জয় করেছেন স্টুয়ার্ট কোপল্যান্ড। তিনি পাঁচবারের গ্র্যামি জয় করা মার্কিনি গায়ক ও সুরকার। বিখ্যাত ‘দ্য পুলিশ’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও ড্রামার। তাদের অ্যালবামগুলো সাড়ে ৭ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। তিনি ও কেজ মিলে এর আগে একটি গ্র্যামি জয় করেছেন।
ওএফএস/