শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেলোডি কুইন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ দিবস আজ

লতা মঙ্গেশকর চলে গেলেন এই ভুবন ছেড়ে একটি বছর হলো। তবে স্মৃতিগুলো এবং অপার জাদুকরি কণ্ঠস্বরটি সান্ত্বনা দিয়ে চলেছে তার পরিবারের সদস্যদের। গানের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন গত বছরের এই দিন, ৬ ফেব্রুয়ারিতে।

তার ভাগ্নী রচনা শাহ বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য ও বিশাল একটি শক্তি ছিলেন তিনি। আমরা এখনো তিনি আমাদের সঙ্গে নেই-গ্রহণ করতে পারিনি। একটি বছর পেরিয়ে গেল ও আমাদের এখনো মনে হচ্ছে, সবকিছুই অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য। তার উপস্থিতি কখনো কমবে না। আমরা তার মৃত্যু মেনে নিতে চাই না।’

রচনা আরও বলেছেন, ‘তার কণ্ঠস্বর দীর্ঘকাল ধরে পুরোটি দিন জুড়ে আমাদের সঙ্গে ছিল। এখানে তার স্মৃতিগুলো আছে। যখনই ফোন বাজে আমার মনে হয়, এই ফোনটি কী দিদি আমাকে করেছেন?’ তিনি জানিয়েছেন যে, ‘লতা মঙ্গেশকর ছিলেন একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।’

আরো বলেছেন, ‘তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিটি পূজা করতেন। তার ঘরটি ছিল ধুপ, ধুনোর সৌরভে পূণ।’ আরো বলেছেন, ‘এই মেলোডি কুইন নামে ভক্ত ও গানের মানুষদের কাছে পরিচিত ভারতের গানের সেরা প্রতিভাটি একজন দারুণ রাঁধুনীও ছিলেন।’

এরপর জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়গুলোর সবই ছোট, ছোট, প্রতিদিনের। তবে এগুলোর আমরা অত্যন্ত ভালোবাসা নিয়ে অভাব বোধ করে চলেছি। গায়িকা সবাইকে বিশেষ একজনের অনুভূতি প্রদান করেছেন। নিজেও ছিলেন তিনি তেমন। যখনই কেউ তার সঙ্গে বসতেন, তিনিই শান্তি অনুভব করতেন। তিনি শান্তির প্রতিরূপ ছিলেন। শান্তিকে তুলে ধরতেন। তিনি তার পরিবারের কাছেও ছিলেন শান্তির মানবী, সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্য-তার শ্রোতাদের কাছে, পরিবারের সদস্যদের জন্য, তার কর্মী ও ভক্ত এবং শ্রোতাদের জন্য। তার স্মৃতিময় গানগুলো তাকে এই ভুবনে ঈশ্বরীর মর্যাদা দিয়েছে। তার কন্ঠস্বরটি ছিল তেমন। তিনি তার জীবনের একেবারে শেষ মুহূর্তেও এই যোগাযোগগুলো করতে ভুল করেননি। তার কাছে সবাই ছিলেন বিশেষ, তার একটি বিশাল হৃদয় ছিল। তিনি সবাইকেই ভালোবাসতেন।’

লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন উষা মঙ্গেশকর বলেছেন, ‘আমাদের পরিবার এখনো গানের প্রতিমার মৃত্যুর বিষয়গুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। লোকেরা কেবলই তার স্মৃতিগুলোর জন্য আমাদের বাড়িতে আসছেন। তারা তাকে স্মরণ করছেন। আমরা এখনো গভীর দুঃখে কাতর হয়ে আছি। আমাদের সবকিছুর পেছনে গভীর বেদনা কাজ করছে।’

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে লতা মঙ্গেশকরকে তার ভারতীয় সিনেমা এবং গানের ভুবনও স্মরণ করেছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানী ও কিংবদন্তি গজল শিল্পী পঙ্কজ উদাস এবং অনুপ জালোটা তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।

টুইটারে দাদলানী বলেছেন, ‘লতা মঙ্গেশকরজি নামের এই কণ্ঠস্বরটি বৈশ্বিক, এক বছর পর পুরোপুরিভাবে বিশ্বে ফিরে এলো।’

পঙ্কজ উদাস বলেছেন, ‘একটি বছর আগে আপনি আমাদের ফেলে চলে গিয়েছেন। আমরা যারা আপনাকে ভালোবাসি, তারা চলে যাইনি, প্রতিদিন আমরা আপনাকে নিয়ে আলোচনা করি। দেখা হয় না, আগে শোনা হয়নি এমন কথাগুলো হয়, সবসময় আপনাকে আরো কাছের মনে হয়। এখনো ভালোবাসার আপনি, এখনো অনুভব করি এবং গভীর ভালোবাসাময়ী হিসেবে বোধ করি। একটি বছর আপনাকে ছাড়া মনে হচ্ছে অনন্তকাল। আপনার অভাব সবসময় অনুভব করি।’

লতা মঙ্গেশকরের ‘সোয়ার কোকিলা’ গানটি বাজিয়ে শুনতে শুনতে জালোটা বলেছেন, ‘গানের এই প্রতিমা ভারতজুড়ে সম্মান তৈরি করেছেন নিজের ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দি গানের ভুবনে তার মেলোডিয়াস কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা মাথুর ভান্ডেকর লিখেছেন, ‘আপনার অভাব অনুভব করছি অমরশীল লতা দিদি।’ জয়পুর সাহিত্য উৎসবে গত মাসে (জানুয়ারি) কিংবদন্তি কবি ও গীতিকার গুলজার লতা মঙ্গেশকরকে স্মরণ করেছেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে যিনি হয়েছেন ভারতের প্রতিদিনের সংস্কৃতি ও সভ্যতার একটি অংশ। তিনি তাকে তার পুরো ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় গান প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন। ছবিটি ‘কিনারা’, বেরিয়েছে ১৯৭৭ সালে। এই ছবির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা গুলজারের। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায়’ গানটি গুলজারের লেখা। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন আর ডি বর্মণ।

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভাইজানস’ ছবিতে আপনি তার কণ্ঠ শুনলে মনে হবে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম শুনলেন কোনো ভালোবাসার জাদুকরী কন্ঠস্বর। ভারতে যখন কোনো বিবাহ উৎসব ও হোলি এবং রাখী বন্ধনের মতো কোনো উৎসব হতো, সেখানেই লতাজির একটি গান থাকতো। তিনি আমাদের জানতে না দিয়েই আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। এটি একটি বড় অর্জন যে, এই নামটি এবং কণ্ঠস্বরের আমিও একজন সহযোগী। এই বিষয়টি আর কোনো শিল্পীর সঙ্গে আগে কখনোই ঘটেনি।’

গুলজার প্রথম লতা মঙ্গেশকরের সহযোগী হয়েছেন তার জন্য ‘মোরা ঘোড়া আঙ লাইলি’তে, ১৯৬৩ সালের গান, ‘বন্দীনী ছবিতে। এই গানের মাধ্যমেই একজন গীতিকার হিসেবে গুলজারের শুরু।

ভারতীয় সিনেমা ভুবনের সর্বকালের সবচেয়ে সেরা একজন প্লেব্যাক গায়িকা লতা মঙ্গেশকর সাত দশকের বেশি ক্যারিয়ার গড়েছেন। তার অবিস্মরণীয় ও চিরকালের সেরা গানগুলোর অন্যতম হলো- ‘লাগ যায়া গালে’, ‘মোহে পাংহ্যাট পে’, ‘চলতে, চলতে’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘আজিব দাস্তান হায়’ ‘হটন মেইন অ্যায়সি ভাট’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া’, ‘নীল আসমান সো গায়া’ এবং ‘পানি পানি রে’।

তিনি ভারতের সবগুলো সর্বোচ্চ পদক লাভ করেছেন। ২০০১ সালে পেয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় অসামরিক পদক ‘ভারত রত্ন’। তার আগে জয় করেছেন ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্ম বিভূষণ’, ‘দাদা সাহেব ফালকে’।

ওএফএস/

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ