শুটিংয়ে দগ্ধ শারমিন আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক
রাজধানীর মিরপুরে শুটিংস্পটে দগ্ধ ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তিনি বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পুলিশ বলছে আঁখি ধুমপান করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির। তার দাবি অভিনেত্রী শারমিন আঁখি ধূমপান করতেন না।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্বামী জানান, তারা পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিংয়ে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি নিজেই শারমিনকে মিরপুর-১১, কালশি রোড অ্যাপেক্স শোরুমের পাশের একটি সুটিংস্পটে নামিয়ে দিয়ে কাজে চলে যান।
তিনি বলেন, দুপুরে খবর পাই, সুটিংস্পটে দগ্ধ হয়েছেন শারমিন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তার দুই হাত সম্পূর্ণ, দুই পা, মুখমন্ডল ও মাথার একপাশ দগ্ধ হয়েছে।
শারমিনের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুপুরে সে মেকআপ রুমে ঢোকে। তার ভিতরেই টয়লেট ছিল। সেখানে হেয়ার স্টেট দিয়ে চুল ঠিক করার পর প্লাগ খুলতেই একটি স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। তার ধারনা, এ ঘটনার আগে মেকআপ রুমে কেউ বডি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন। যা সেখানকার বাতাসে ছিল। এ কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। এছাড়া শুটিং হাউজটি সম্পূর্ণ নতুন এবং সবেমাত্র রঙ করা। সেখানে রঙের প্রচুর গন্ধও ছিল।
শারমিনের বড় বোন শাহনাজ আক্তার জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। শারমিন বাথরুমের মধ্যে ধুমপানের সময় দগ্ধ হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শারমিন ধূমপান করতো কিনা আমি জানি না।
রবিবার রাতের দিকে পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাহাত কবির পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী শারমিন ধূমপান করতেন। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধূমপানের আগুন থেকেই শারমিন দগ্ধ হয়েছেন। তার পরেও আমরা এ বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শারমিন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. শাহবুদ্দিন মেয়ে।
এএইচ/এএস