শক্তিমান অভিনেতা খলিলের প্রয়াণ দিবস আজ

ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় খল অভিনেতা খলিল। তার পুরো নাম আবু ফজল মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ খান। নায়ক থেকে পার্শ্ব চরিত্র ও খলঅভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন সমান জনপ্রিয়তা। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) খ্যাতিমান এ অভিনেতার প্রয়াণ দিবস। ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
খলিল উল্লাহ খান পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছেন রুপালি পর্দায়। তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা প্রায় আটশ। এ ছাড়া টিভি পর্দায়ও খলিল অভিনীত বিটিভির ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ মিয়ার ব্যাটা চরিত্রটি আজও দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কাটে।
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্ম গ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, নোয়াখালী বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। তবে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো তিনি সিলেট থেকেই সম্পন্ন করেছেন।
১৭ বছর বয়সে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের কোয়েটায় চলে যান। সেখান থেকে এক বছর পর ফিরে যুক্ত হন আনসারে। মাঝে অনেক বছর তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল অব্দি টানা তিনি আনসারের সদস্য ছিলেন।
চাকরির পাশাপাশি অভিনয় চালিয়ে গেছেন এ অভিনেতা। ১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ সিনেমার মাধ্যমে তার সিনে ক্যারিয়ার শুরু হয়। এতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কাহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬) জংলী ফুল (১৯৬৮) সিনেমায় তিনি নায়ক হিসেবে কাজ করেন।
তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আলমগীর কুমকুমের পরিচালনায় ‘গুন্ডা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান খলিল। ২০১২ সালে তাকে এই পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এএম/আরএ/
