আমিরের বিরুদ্ধে কঙ্গনার অভিযোগ
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত অভিযোগ করেছেন যে, সুপারস্টার আমির খান নিজেই তার নতুন সিনেমা ‘লাল সিং চান্ডা’কে বয়কট করার প্রচেষ্টায় সুসংধবদ্ধভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এই সিনেমাটি হলিউডের ‘বিখ্যাত ফরেস্ট গাম্প’ ছবির হিন্দি রিমেক। এটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টম হ্যাংকস।
এই মাসের ১১ তারিখে ‘লাল সিং চান্ডা’ মুক্তি দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এ সিনেমাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বয়কটের আহ্বান প্রতিরোধ করছে। তবে এর পেছনে আমির খানই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন কঙ্গনা।
তিনি তার ইনস্ট্রাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি ভাবছি, সামনে মুক্তি পেতে যাওয়া লাল সিং চান্ডাকে নিয়ে সব খারাপ কাজ দক্ষভাবে তৈরি করেছেন মাস্টার মাইন্ড আমির খানজী নিজেই। এই বছর কোনো হিন্দি ছবিই কাজ করেনি (মানে সফল হয়নি), একটিমাত্র কমেডি সিক্যুয়েল বাদে। একমাত্র দক্ষিণের ছবিগুলো গভীরভাবে ভারতীয় সংস্কৃতিতে শিকড় গেড়েছে অথবা স্থানীয় স্বাদগন্ধময় ছবিগুলো কাজ করেছে। এমন ছবিগুলোই সফল হয়েছে। ফলে কোনোভাবেই একটি হলিউডের রিমেক কাজ করতে পারে না।’
তিনি আরও লিখেছেন, “খুব কম হিন্দি সিনেমাই এই বছর বক্স অফিসে বিস্ময়কর সাড়া ফেলেছে। অন্যতম হলো, ওই অক্ষয় কুমারের করা বোল ভুলাইয়ার পরের পর্ব ‘বোল ভুলাইয়া-২’। তবে এখানেও অক্ষয় ছিলেন না। বক্স অফিসে সাফল্য এনেছে বলিউডের অন্য ছবিগুলো হল এবারে ‘দি কাশ্মীর ফাইলস’ ও ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াদি’।”
কঙ্গনা তার নোটে উল্লেখ করেছেন, “তবে এখন তারা অসহিষ্ণুতার ডাক দেবেন। হিন্দি ছবিগুলোকে বোঝা প্রয়োজন, দর্শকদের চাপ দেওয়া হিন্দু বা মুসলমানের বিষয় নয়। এমনকি আমির খানজী হিন্দু ফোবিক ‘পিকে’ বানানোর পরও বা ভারতে অসহিষ্ণুতার বা ডাক দেবার পর, তিনিই তার জীবনের ও এই দেশের সবচেয়ে হিট ছবিগুলো দিয়েছেন।”
‘দয়া করে ছবিটিকে ধর্ম বা বিশ্বাসের দিকে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করুন। এটি তাদের অমন খারাপ ছবিগুলো বা অভিনয়ের বাইরে।’
তৃতীয় এই ছবিতে এক হয়েছেন কারিনা কাপুর খান আমিরের সঙ্গে। আগের ছবিগুলো হলো ‘তালাশ’ ও ‘থ্রি ইডিয়টস’।
ছবিটি বেরুনোর এক সপ্তাহের সামান্য বাকি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ছবিটিকে বয়কটের জন্য হ্যাশট্যাগ দিয়ে চাপ দিচ্ছেন #বয়কটলালসিংচান্ডা। এই চলের বিপক্ষে সাড়া দিয়ে আমির এএনআইকে সোমবার বলেছিলেন, ‘ওই বয়কট বলিউড...বয়কট আমির খান...বয়কট লাল সিং চান্ডা...। আমার আরো খারাপ লেগেছে, বিরাট অংশের মানুষ বলেছেন যে তারা হৃদয় থেকে বিশ্বাস করেন আমি এমন একজন যে ভারতকে পছন্দ করে না...তাদের হৃদয় থেকে তারা সেটি বিশ্বাস করেন...এবং সেটি পুরোপুরি ভুল। আমি আসলেই দেশটিকে ভালোবাসি।’
ওএফএস।