শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

সারা বছর আলোচনায় যেসব ঢালিউড সিনেমা

ছবি: সংগ্রহ

করোনাকালে বন্ধ ছিল সিনেমা হল, বন্ধ ছিল শুটিং, বন্ধ ছিল সিনেমা মুক্তিও। সেই অবস্থা থেকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ২০২১। এ বছরেও পুরোপুরি কাটেনি করোনার থাবা, আসেনি সিনেমার জোয়ার। তারপরও সিনেমা হল খুলেছে, বেড়েছে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা। ২০২১ সালে ৩২টি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ২টি ছিল আমদানি। কিছু সিনেমা আশানুরূপ সাফল্য পেলেও অধিকাংশ চলচ্চিত্র দর্শকশ্রোতার প্রশংসা পায়নি। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কয়েকটি সিনেমা বেশ সাড়া পেয়েছে, পুরস্কার ও প্রশংসাও জুটেছে।

পর্যালোচনার শুরুতে দেখা যাক একনজরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা: কেন সন্ত্রাসী ( ১ জানুয়ারি), রংবাজি দ্য লাফাঙ্গা (৫ ফেব্রুয়ারি), পাগলের মতো ভালোবাসি (১৯ ফেব্রুয়ারি), তুমি আছো তুমি নেই (১২ মার্চ), গন্তব্য (১৯ মার্চ), অলাতচক্র (১৯ মার্চ), স্ফুলিঙ্গ (২৬ মার্চ), প্রিয় কমলা (২৬ মার্চ), টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই (২ এপ্রিল), যৈবতী কন্যার মন (২ এপ্রিল), সৌভাগ্য (১৩ মে), নবাব এলএলবি (২৫ জুন), কসাই (১৬ জুলাই), আগস্ট ১৯৭৫ – (২২ আগস্ট), নারীর শক্তি (১০ সেপ্টেম্বর), চোখ (পহেলা অক্টোবর), মুজিব আমার পিতা (১ অক্টোবর), পদ্মাপুরাণ (৮ অক্টোবর), চন্দ্রাবতী কথা (১৫ অক্টোবর), ঢাকা ড্রিম (২২ অক্টোবর), এ দেশ তোমার আমার (৫ নভেম্বর), রেহানা মরিয়ম নূর (১২ নভেম্বর), হৃদয়ের আঙ্গিনায় (১৯ নভেম্বর), নোনা জলের কাব্য (২৬ নভেম্বর), মিশন এক্সট্রিম (৩ ডিসেম্বর), লাল মোরগের ঝুঁটি (১০ ডিসেম্বর), কালবেলা (১০ ডিসেম্বর), মৃধা বনাম মৃধা (২৪ ডিসেম্বর)। এ ছাড়াও ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ ও ‘রাত জাগা ফুল’ মুক্তি পাচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানিকৃত চলচ্চিত্র ‘বাজী’ মুক্তি পায় ১৫ অক্টোবর এবং ‘গোলন্দাজ’ মুক্তি পায় ১৯ নভেম্বর।

বছরের শুরুটাই হয়েছিল মানহীন সিনেমা দিয়ে। ১ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল রবিউল ইসলাম রাজ পরিচালিত ‘কেন সন্ত্রাসী’ সিনেমাটি। এরপর ‘রংবাজি-দ্যা লাফাঙ্গা’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’, ‘নারীর শক্তি’, ‘হৃদয়ের আঙ্গিনায়’ সহ অনেকগুলো মানহীন সিনেমা মুক্তি পায়। বরাবরের মতো যেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দর্শক।

২০২১ সালে ভিন্নধারার সিনেমা মুক্তি বেড়েছে। অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’, হাবিবুর রহমানের ‘অলাতচক্র’, তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’, রাশিদ পলাশের ‘পদ্মাপুরাণ’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’, সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের ‘মিশন এক্সট্রিম’, নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, রনী ভৌমিকের ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমাগুলো প্রসংশা কুড়িয়েছে দর্শক-সমালোচক মহলে। বছরের শেষ মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি অনুদানের সিনেমা।

বছরজুড়ে সিনেমার বাইরে আলোচনায় থাকা পরী মণি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তৌকির আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’ সিনেমায় অভিনয় করার খবরে উচ্ছ্বসিত হলেও মুক্তির পর তৌকির আহমেদ তাঁর নামের সুবিচার করতে পারেননি।

চলতি বছরের ২৫ জুন মুক্তি পায় শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা ‘নবাব এলএলবি’। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হিসেবে এই সিনেমাটি অনেকটাই দলিল হয়ে থাকবে। এতে একজন আইনজীবীর চরিত্রে শাকিব তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয় দেখিয়েছেন। মুক্তির পর সিনেমাটি নিয়ে দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সিনেমাটিতে ধর্ষিতা নারীর চরিত্রে স্পর্শিয়ার অভিনয় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।

ডিসেম্বরে প্রথম মুক্তি পায় বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে আছে ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমাটি। ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের পাঁচটি দেশে প্রথম বার একযোগে একই দিনে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বলা যায়, করোনাকালীন প্রতিকূল পরিবেশেও চলতি বছর প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফিরিয়েছে সিনেমাটি।

২০২১ সালে সিনেমা মুক্তির দিক থেকে এগিয়ে আছেন ডিপজল এবং নিরব। দুটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তাদের। ডিপজলের ‘সৌভাগ্য’ ও ‘এ দেশ তোমার আমার’ মুক্তি পায়। নিরবের ‘কসাই’ ও ‘চোখ’ সিনেমা দুটি মুক্তি পায়। এছাড়া পরীমনি, অপু বিশ্বাস, মাহি, আরিফিন শুভ অভিনীত একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এ বছর।

চলতি বছর মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসব ঘুরে বাংলা সিনেমার নাম উজ্জ্বল করেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সেই সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বাংলাদেশে মুক্তির আগেই সিনেমাটি পাইরেসি হয়ে যাওয়ায় দেশের সিনেমা হলে সেভাবে দর্শক টানতে পারেনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত সিনেমাটি।

ডিসেম্বরের আগে ‘চন্দ্রাবতী কথা’, ‘ঢাকা ড্রিম’, ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘হৃদয়ের আঙ্গিনায়’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমা মুক্তি পায়। যার মধ্যে প্রশংসিত সিনেমা ছিল ‘নোনা জলের কাব্য’। বাকি সিনেমাগুলো নামমাত্র মুক্তি পেয়েছে।

সিয়াম আহমদে অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ অন্তর্জালে প্রশংসায় ভাসলেও সিনেমা হলে দর্শক টানতে ব্যর্থ। এর মাঝে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘কালবেলা’ মুক্তি পায় নামমাত্র।

আড়াল ভেঙে বছরের শুরুতেই দেশে ফেরেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বছরের শুরুর আলোচনাটা তাকে দিয়েই। পরে সিনেমা মুক্তি নিয়ে দীঘি ও দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে মেতে ছিল নেটিজনরা। পরে মাদককাণ্ডে নতুন আলোচনার জন্ম দেন পরীমনির দিকে। মামলা, জেল, আদালত ইস্যুতে বেশ আলোচনা সমালোচনায় ছিলেন তিনি। বছর শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন মাহিয়া মাহি ও ইমন। ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের পরই আলোচনায় তারা। এছাড়া বছর জুড়ে আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কারণেই আলোচনায় তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সফল এ অভিনেত্রী।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত