আলম খান ও শর্মিলী আহমেদকে নিয়ে স্মরণসভা
কিংবদন্তি সুরকার সংগীত পরিচালক আলম খান ও অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ গত ৮ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
আলম খান ও শর্মিলী আহমেদ দুজনই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। এবার এই দুই কিংবদন্তিকে নিয়ে বিএফডিসিতে স্মরণসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
শনিবার (২৩ জুলাই) এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটোরিয়ামে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ (এমপি)।
আলম খান ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাথি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান এবং মায়ের নাম জোবেদা খানম।
ওরে নীল দরিয়া, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা, তুমি যেখানে আমি সেখানে, সবাই তো ভালবাসা চায়, চুমকি চলেছে একা পথেসহ অসংক্য কালজয়ী গানের সুর করেছেন আলম খান।
অন্যদিকে মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত অভিনয়শিল্পী শর্মিলী আহমেদ। মাত্র চার বছর বয়স থেকে তিনি অভিনয় শুরু করেন। ১৯৪৭ সালের ৮ মে তার জন্ম। রাজশাহী বেতারের শিল্পী ছিলেন তিনি। শর্মিলী আহমদের তনিমা নামের এক মেয়ে আছেন।
ষাটের দশকে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নাম লেখান শর্মিলী। এর মধ্যে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’ (উর্দু ভাষায় নির্মিত) আলোর মুখ দেখেনি। তবে সুভাষ দত্তের ‘আলিঙ্গন’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ এবং ‘আবির্ভাব’ চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। শর্মিলী আহমেদের স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদ পরিচালক ছিলেন। তার নির্মিত ‘পলাতক’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ।
এএম/এমএমএ/