শবনম ফারিয়া তার নামে ফ্ল্যাট কিনতে অপুকে চাপ দিয়েছিলেন!
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সাবেক স্বামী হারুনুর রশিদ অপুর মামা আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ফারিয়া। বিয়ের পর তিনি তার নামে ফ্ল্যাট কিনতে অপুকে চাপ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও জুয়েলের দাবি, ফারিয়া ইভ্যালি কাণ্ড থেকে বাঁচতে সাবেক স্বামীকে শিকারে পরিণত করার সস্তা পথ বেছে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন অপুর মামা পরিচয়দানকারী জুয়েল। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। তার ওই পোস্টে ফারিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
অপুকে নিজের বোনের ছেলে দাবি করে জুয়েল বলেন, ‘আমি সাধারণত ফেসবুকে ব্যক্তিগত বিষয় বলি না। একটি বিষয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে এবং একপাক্ষিকভাবে তা আবার মিডিয়ায় আসছে, তাই না বলে পারছি না। ইভ্যালি ইস্যুতে নাম আসার পর যে সস্তা পথটি শবনম ফারিয়া বেছে নিয়েছেন তা হচ্ছে, সাবেক স্বামীকে শিকারে পরিণত করে সহানুভূতি লাভের চেষ্টা। ফারিয়ার সাবেক স্বামী অপু আমার বোনের ছেলে। অপুসহ আমার ভাগ্নেদের মতো সহজ-সরল, সৎ, ভদ্র ও ভালো ছেলে খুব কমই হয়। তারা আমার হৃদয়ের অংশের মতো, কিন্তু তবু অন্যায় করলে আমি সাফাই দিতাম না। কিন্তু যে প্রচার-অপপ্রচার চলছে, তার একটি বস্তুনিষ্ঠ সারমর্ম তুলে ধরছি।’
লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ফারিয়া উল্লেখ করে অপুর মামা জুয়েল বলেন, ‘আমার দুলাভাইয়ের মৃত্যুর পর আপা একা হয়ে পড়ায় নিজের বাড়িতে না থেকে অন্য বোনদের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফারিয়া অপুদের তিন বেডরুমে ভাড়া থাকার কথা উল্লেখ করে লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে অপুর উত্তরাধিকার সূত্রে যা আছে, তার যতটা তিনি জানেন তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। যা-ই হোক, বিয়ের পর ফারিয়া তার মাসহ অপুকে নিয়ে আলাদা থাকতে চেয়েছিলেন, যাতে আমরা কেউ দ্বিমত করিনি। বিয়ের কেনাকাটা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত ফারিয়া যা চেয়েছেন, যেভাবে চেয়েছেন, যেভাবে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন, আমার আপা তাই দিয়েছেন। যখন চেয়েছেন ইন্ডিয়া গেছেন, ব্যাংকক গেছেন। কখনো প্রশ্ন করা হয়নি কেন বা কোথায় টাকা খরচ হবে!’
ফারিয়া নিজের নামে ফ্ল্যাট কেনার জন্য অপু চাপ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ফারিয়া তার নামে ফ্ল্যাট কিনতে অপুকে বারবার চাপ দিয়েছিলেন। দুটি বহুতল ভবন ও নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট থাকার পরও এমন দাবি অযৌক্তিক মনে করেছেন আমার বোন। তবে আলাদা থাকতে আপত্তি করেননি। ফারিয়া কখনো বলতে পারবে না আমাদের কেউ কখনো তাকে কোনো বিষয়ে সামান্যতম কটু কথা বলেছেন।’
আঙুল ভাঙার প্রেক্ষাপট টেনে জুয়েল বলেন, ‘ফারিয়ার আঙুল ভেঙেছিল, যদিও এখন বলা হচ্ছে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ফারিয়া আঙুলে আঘাত পেয়েছিলেন, কারণ সারা রাত ঝগড়া ও আঘাত করায় অপুর শরীর ছিল খামচিতে ক্ষত-বিক্ষত। নারীর গায়ে হাত তোলার শিক্ষা অপু পায়নি। কিন্তু নিজেকে রক্ষার চেষ্টায় আঙুলে আঘাত লাগা অস্বাভাবিক নয়। প্রহার করতে চাইলে কেউ আঙুল ভাঙে না। আর তেমন কিছু হলে ফারিয়া নিশ্চিতভাবেই মামলা ঠুকে দিতেন।’
বিচ্ছেদের পর কাবিনের টাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অপু-ফারিয়ার বিচ্ছেদ হয়েছে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে। তবে সেখানে কোনো পক্ষের অভিভাবক ছিল না। আমরা এবং ফারিয়ার দুই বোনও তালাকের বিরুদ্ধে ছিলাম। ফারিয়া কাবিনের টাকা পরিশোধ করে তালাক দিতে বলেছিলেন। বিয়েতে দেওয়া স্বর্ণালঙ্কার কাবিনের টাকার উসুল হিসেবে ধরার নিয়ম থাকলেও তা ধরা হয়নি। তবু সামান্যতম আপত্তি না তুলে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপুকে দেওয়া একমাত্র আংটিটিও ফেরত নিয়ে যান। তালাকের পর ফারিয়ার স্ট্যাটাস কী ছিল তা অনেকেই পড়েছেন।’