চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার, নীরব চলচ্চিত্রপাড়া
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ২৪ বছর আগে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা হয়। এতো বছর পর এইা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও চলচ্চিত্রপাড়ায় নেই কোনো প্রতিক্রিয়া। সোহেল চৌধুরীর সহকর্মীদের পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবেও কেউ কোনো মন্তব্য করেননি এই নায়ককে ঘিরে।
শুধু তাই নয়, সাধারণ দর্শকদের কেউ কেউ জনপ্রিয় এই নায়ককে নিয়ে তাদের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করলেও সোহেল চৌধুরীর সহকর্মীরা তাকে নিয়ে এক লাইনও উচ্ছ্বাসবার্তা দেয়নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ সম্পর্কে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করা চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘এতো বছর পর সোহেলের হত্যাকারী গ্রেপ্তার হয়েছে এটা আমাদের জন্য সুখবর। তবে এই বিষয়টা নিয়ে শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতির পাশাপাশি সব সংগঠনগুলোর আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধুবাদ জানানো উচিত ছিল। আজ যদি কোনো একজন নায়িকার ক্ষেত্রে এমন হতো তাহলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়তো। কিন্তু সোহেল চৌধুরীকে নিয়ে কেউ কিছু বলছে না। তাদের মধ্যে অনেকেরই মিথ্যাকে মিথ্যা বলার বোধ নাই। চলচ্চিত্রকে তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করছে। এ জন্য আমার খারাপ লাগছে। ভালো লাগছে এই ভেবে এতো বছর হলেও সোহেল চৌধুরীর পরিবার সঠিক বিচার পাচ্ছে।’
অরুণা বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি সোহেল চৌধুরী সঙ্গে মাত্র একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। সিনেমার নাম ‘হিংসার আগুন’। তিনি ছিলেন একজন সুঅভিনেতা। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। বেঁচে থাকলে হয়তো আমরা একসঙ্গে আরও অনেক সিনেমায় কাজ করতে পারতাম।’
বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে এফডিসি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসেন সোহেল চৌধুরী ও দিতি। পরে দিতির সঙ্গে তার বিয়েও হয়। সোহেল চৌধুরীর ক্যারিয়ারে সিনেমার সংখ্যা ৩০। এর মধ্যে পর্বত, খুনের বদলা, লক্ষীবধূ, হীরামতি, আমার ভালোবাসা, প্রেমের প্রতিদান, কালিয়া, প্রতিশোধের আগুন, হিংসার আগুন, চিরদিনের সাথী, অবরোধ, দাঙ্গা ফ্যাসাদ, প্রেমের দাবি, প্রিয় শক্রু, ভাইবন্ধু, দোষী, লেডি ইন্সপেক্টর, পাপী শক্রু, আজকের হাঙ্গামা, বিরহ ব্যথা, জুলি, মহান বন্ধু অন্যতম।
এএম/এমএমএ/