বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উইলি নেলসের ব্যান্ডের আত্মা ও আপন বোন ববি নেলসেন মারা গিয়েছেন

উইলি নেলসনের পাঁচ দশকের গানের সঙ্গী বোন ববি নেলসেন মারা গিয়েছেন ১০ মার্চ, বৃহস্পতিবার। তিনি মারা গিয়েছেন ৯১ বছর বয়সে। ভাই উইলি নেলসনের সঙ্গে টানা পাঁচ দশকের বেশি পারফর্ম করে গিয়েছেন।

‘সেদিন ভোরে ঘুমের মধ্যে তিনি শান্তিতে চলে গিয়েছেন’-জানিয়েছেন উইলি নেলসনের গণসংযোগকারী।

ববি নেলসেন ছিলেন একজন বিখ্যাত পিয়ানোবাদক বা পিয়ানিস্ট ও গায়িকা। তারা একসঙ্গে পারফরমেন্স করতেন। তিনি তাদের ‘দি উইলি নেলসন অ্যান্ড ফ্যামেলি (তারা ফ্যামেলি উইলি নেলসন’স ব্যান্ড নামেও ডাকেন) ব্যান্ড’ দলটির একেবারে শুরু থেকে থাকা আসল মানুষ; পরিবারের ভাই-বোন হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।

এর বাদেও তিনি তার ভাইয়ের প্রশ্নাতীত ভালো সুরগুলো তৈরির পেছনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন। যদিও মঞ্চে ভাই সুরগুলোকে তুললে তিনি সেগুলোকে তার পিয়ানোতে মেশাতেন ও কাজ করতেন অন্য সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে। মাঝে, মধ্যে তাদের ব্যান্ডকে পরিচালনা করতেন। তার সুদক্ষ পিয়ানো বাদনে দারুণ আনন্দ দিতেন গানপ্রেমীদের। তিনি একজন নিয়মিত গায়িকাও ছিলেন।

ববি প্রায় দুই বছরের বড় ছিলেন তার ছোট ভাইয়ের। তারা তাদের দাদা-দাদীর কাছে বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি গীর্জায়।


ববির মৃত্যুর পর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে তার ভাষ্যে, “আমি যখন পিয়ানো বাজানো শিখছি, সেই ছোট্ট বয়সে দাদা বলেছিলেন, ‘যদি পিয়ানো নিয়ে কাজ করতে পার, তাহলে তোমার জীবনজীবিকা একসময় গানের মাধ্যমে করতে পারবে।’ আমি কোনোদিন এই কথা ভুলিনি।”


এই সহদোরা-সহদোর কিশোর বয়সে বারগুলোতে তাদের দেশের গান গাওয়া ও বাজানো শুরু করেছেন। তখন থেকে তাদের সঙ্গী হয়েছেন ববির স্বামী ব্লাড ফ্লেচার। তিনি ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী ও রসিক ব্যক্তি। ১৯৭০’র দশকের শুরুর দিকে তিনি তার কৌতুকের অ্যালবামগুলো প্রকাশ করেছেন।

তাদের এই গানের দলে পারিবারিকভাবে ছিলেন তাদের বাবা আইরা নেলসন। তার পুরো নাম আইরা নেলসন মরিস। তিনি একজন আমেরিকান লেখক ও কূটনীতিবিদ। সুইডেনে ১৯১৪ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত ছিলেন। ইতালিতে তাকে কমিশনার জেনারেল নিয়োগ করা হয়েছিল। আইরা নেলসন তাদের সঙ্গে তখন গিটার বাজাতেন।

একটি কার দুঘটনায় ববির স্বামী ব্লাড ফেচার মারা গিয়েছেন ও তারপর তাদের তিনটি এতিম সন্তানের দেখাশোনা এবং ব্যবসা নিয়ে পড়ালেখা করতে পারিবারিক ব্যান্ডদলটি ছেড়ে চলে গেলেন ববি।

কলেজ থেকে অনার্স পাশের পর ববিকে ‘দি হ্যামন্ড অর্গান কম্পানি’ অফিসের কাজে সাহায্য করতে চাকরি দিল। এটি একটি বিখ্যাত ইলেকট্রিক বাদ্যযন্ত্র তৈরি প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৫ সালে প্রথম বাদ্যযন্ত্রটি তারা তৈরি করেছেন। সেখানে ববি তাদের পণ্যগুলোকে সাজানো ও ক্রেতাদের দেখার ব্যবস্থা করতেন।


যখন তার ছেলেমেয়েরা আরো বড় হয়ে গেল এবং তার নিজের মধ্যে একজন পারফরমার হিসেবে পারফরমেন্সের ইচ্ছে রয়ে গিয়েছে বলে, তিনি তাদের ব্যান্ডদলে এসে গানের শোগুলোতে আবার পিয়ানো বাজানো শুরু করলেন।

স্বাভাবিকভাবেই এই বিখ্যাত ব্যান্ডদলটির প্রতিষ্ঠাতার বোন, অন্যতম সদস্য ও নামকরা পিয়ানোবাদক যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন ও নাশভিলের শোগুলো থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারলেন।

জীবনে আবার ফিরে আসার সময়গুলোর কথা তিনি এভাবে বলেছিলেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল। কারণ আমি আবার পিয়ানো বাজানো ও গান নিয়ে কাজ করার জন্য ফিরে এসেছিলাম। আমি বাদ্যযন্ত্র বিক্রি ও সাজানোতে জীবনটি কাটিয়ে দিতে চাইনি। তবে আবার গানের আসনে বসতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। কেবল আমার হৃদয় ও আত্মার জন্য কাজ করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।’


যখন তাকে ব্যান্ডে আমন্ত্রণ জানালেন, ছোট ভাই উইলি ১৯৭২ সালে, আটলান্টিক রেকর্ডসের সঙ্গে একটি রেকর্ড গড়া চুক্তি করেছেন।

বোন বলেছেন, ‘উইলির সঙ্গে আবার সঙ্গীত নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি এত খুশি হয়েছি যে বলে বোঝাতে পারব না।’


তবে অনেক, অনেক বছর নিজের প্রথম অ্যালবামটি প্রকাশ করেছেন ববি নেলসেন। তার এই অ্যালবামের নাম ‘অটোবায়োগ্রাফি’। অ্যালবামটির ১২টি গানের মধ্যে দুটিতে তিনি ভাইকে নিয়েছেন। উইলি নেলসেন সেগুলোতে বাজিয়েছেন ও গেয়েছেন।


সম্প্রতি তিনি কাজ করেছেন ‘দি উইলি নেলসেন ফ্যামেলি’ নামের তাদের ব্যান্ড দলের অ্যালবামে। এটি ২০২১ সালে লিগাসি রেকর্ডস থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের গানের আদলে এখানেও গানগুলো আছে। সেগুলো হলো দেশের গান বা কান্ট্রি মিউজিক, লোককথার গান, নীতিবাক্য নিয়ে তৈরি গানের চরণে সাজানো। তাতে উইলি’স ফ্যামেলি ব্যান্ডের সদস্যরা গেয়েছেন ও বাজিয়েছেন।


গেল দুই বছরের মধ্যে প্রকাশিত দুটি বই লিখেছেন এই দুই ভাই, বোন। দুটিই স্মৃতিকথার বই। একটি হলো উইলির নামে প্রকাশিত-‘মি অ্যান্ড সিস্টার ববি : ট্রু টেলস অব দি ফ্যামেলি ব্যান্ড’ এবং আরেকটি ‘সিস্টার, ব্রাদার, ফ্যামেলি : অ্যান আমেরিকান চাইল্ডহুড ইন মিউজিক।’


পিয়ানোবাদক, ব্যান্ডের সহ-সদস্য ও ভালোবাসার বোনকে হারিয়ে ফেললেন উইলি নেলসেন। তাকে নিয়ে একটি হৃদয়বিদারক পোস্ট দিয়েছেন তিনি তার ইনস্ট্রগ্রামে বুধবার ১০ মার্চ, বোনের মৃত্যুর খবর জানার পর-“নেলসেন পরিবার থেকে : আজ সকালে ববি নেলসেন চলে গেলেন। তিনি পরিবারের সমস্যদের মাঝে শান্তিতে চিরবিদায় নিয়েছেন। তার চমৎকারিত্ব, দয়াশীলতা, সৌন্দর্য্য ও মেধা এই বিশ্বকে আরো ভালো জায়গায় পরিণত করেছে। তিনি উইলি’স ব্যান্ডের প্রথম সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একজন পিয়ানো বাদক ও গায়িকা হিসেবে। আমাদের সবার হৃদয়গুলো তার চলে যাওয়ায় ভেঙে গিয়েছে। তিনি গভীরভাবে আমাদের মনে অভাব অনুভব করাবেন। আবার তাকে আমাদের জীবনে পাওয়ায় আমরা সত্যিকারভাবে সৌভাগ্যবান। আপনাদের ভাবনাগুলোতে তার ও তার পরিবারকে দয়া করে রাখুন। তাদের এখন একা থাকতে দিন এই গভীর শোক কাটানোর প্রয়োজন বলে।’’


উইলি নেলসেন ও তার বোন ববি নেলসেন অত্যন্ত ঘনিষ্টভাবে জীবন কাটিয়েছেন। বোনকে নিয়ে তিনি তার ব্যান্ড দলটির স্মৃতিকথার বইটি ২০২০ সালে প্রকাশ করেছেন। তখন পিপল ম্যাগাজিনকে উইলি নেলসেন বলেছেন, ‘তিনি আমার সারাজীবনের সবসময়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু। তিনি তার জীবন নিয়ে যা কিছু করেছেন, সেজন্য কিছু স্বীকৃতি পেলেন বলে আমি আনন্দিত।’


ওএস।

Header Ad

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Header Ad

যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে পৃথিবীতে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।

তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দিন দিন যেন এআই মানুষের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। পেশা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একটা সময় বিশ্বে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হবে এআই। তবে গুগল বলছে, এআই সব জায়গায় মানুষের বিকল্প হতে পারবে না। যেমন: কোডিং। এখন পর্যন্ত এআই সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি।

সম্প্রতি টেক জায়ান্ট সংস্থার নিউ ইয়র্কের অফিসে বসে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মাতিয়াস বলেন, সবাই কোডিং শিখতে হবে। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে শেখাটা বরাবরের মতোই এখনো গুরুত্বপূর্ণ। এআই নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করতেই পারে। তবে তা প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু সমগ্র কোডিং প্রক্রিয়াকে দখল করতে তার এখনো অনেক সময় লাগবে।

তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এআই তো এরই মধ্যে কোড লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর উত্তরও দিয়েছেন মাতিয়াস। জানিয়েছেন, এআই কোড লিখলেও তা খতিয়ে দেখার ভার মানুষদেরই। সুতরাং কোডিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া বিষয়টি এখনও এআইয়ের নাগালের বাইরে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডেভেলপাররা যে চাপে পড়েছেন তাও মানছেন মাতিয়াস।

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান