বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জুলাইয়ের গণহত্যার মাঝেও আওয়ামী সরকারকে মদদ দিচ্ছিলো কিছু তারকা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ গ্রাফিক্স

ছাত্র-জনতার দেশকাঁপানো অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর তারপরই স্বৈরাচার ‍মুক্ত নতুন এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়। কিন্তু আগস্টের এই সাফল্য এমনেই অর্জিত হয়নি, জুলাই জুড়ে ছাত্রজনতার বুকের রক্তের মাধ্যমে তা সফলতা পেয়েছে। স্বৈরাচার সরকারকে রুখে দিতে শেষমেষ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেয় সকল শ্রেনী পেশার মানুষরাও। 

জুলাই জুড়ে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে রুখে দিতে যখন নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়, তখনও গোপনে সরকারকে এই নৃশংস হত্যাকান্ডে মদদ দিয়েছিলো বিনোদন জগতের কিছু তারকা। গোপনে চলা তাদের কিছু কথপোকথোনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 

আলো আসবে নামে সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কি কথপোকথোন হয়েছিলো প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হলো: 

‘প্রিয় বন্ধুগণ, সালাম ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের আজকের পারফরম্যান্স ও গ্রুপের কথা পড়ে শোকের মাসে জানাই অভিনন্দন। সেইসঙ্গে কিছু কথা- ১. আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আলো আসবেই। ২. সময়টা আমাদের প্রতিকূলে। ৩. আমাদের যুদ্ধটা দীর্ঘ হবে এবার, তাই শক্তি ও মনোবল ধরে রাখতে হবে। ৪. এই সময়ে কাউকে আঘাত করে কিছু বলা যাবে না। ৫. যে কোনো মূল্যে এ আন্দোলন দ্রুত থামাতে হবে। ৬. সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অন্যকে সাপোর্ট দিতে হবে। ৭. একজনের যেকোনো বিপদে সবাইকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ৮. সবাই মিলে এক আত্মা এক প্রাণ হতে হবে। তাহলেই আমরা এই তুফান পাড়ি দিতে পারব। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।’

গত ২ আগস্ট রাত ১ টা ৩০ মিনিটে ‘আলো আসবেই’ নামক শোবিজ অঙ্গনের আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এভাবেই একটি মেসেজ লেখেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক রিয়াজ।

ঠিক তার একদিন পরই ওই গ্রুপে আরও একটি বার্তা নিয়ে হাজির হন এই নায়ক। এবার ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রিয়াজ লেখেন, বিএনপি-জামাত আর রাজাকার পুত্ররা আহ্বান জানাচ্ছে, দেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে। কোন দেশ সেটা আর বুঝতে বাকি নেই। তাদের বাবারাও ৭১ সালে দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছিল। তবে সেটা বাংলাদেশ না, পাকিস্তান। আজ ৭১ মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে ২৪ দিয়ে। আগস্ট মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে জুলাই দিয়ে, গুজব ছড়িয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিকে ৭১-এর বদলে ২৪ এর বধ্যভূমি বানানোর চেষ্টা চলছে।

এরপর রিয়াজ আরও লেখেন, সরকার বিরোধী সব অপশক্তি যেখানে নানাভাবে সক্রিয় তখনও অনেকেই এটাকে শুধুমাত্র নিরপেক্ষ ছাত্র আন্দোলন ভাবতেই পারে, সেটা তাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আন্দোলন প্যাটার্ন এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরাতন শকুনেরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত শিল্পী ও সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি গঠিত সেই গ্রুপে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত এমন বেশ কিছু মেসেজ দিতে দেখা গেছে রিয়াজকে।

অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস যেন রিয়াজকে আরও একধাপ ছাড়িয়ে গেছেন। কখনো শিক্ষার্থীদের গায়ে গরম জল ঢেলে দিতে বলেছেন। আবার কখনো আন্দোলনের পক্ষে যারা প্রোফাইল লাল করেছিলেন তাদের চিনে রাখা এবং পরবর্তী সময়ে ‘সাইজ করার’ হুমকিও দিয়েছেন।

এখানেই থামেননি তিনি। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে ‘হারামজাদা’, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়া, আবার শিল্পীদের স্ট্যাটাস-কর্মকাণ্ডে তুলে ধরে তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখতে বলেছেন এই অভিনেত্রী।

এর মধ্যে ছাত্রদের পক্ষ নেওয়ায় একজন সংগীতশিল্পীকে উদ্দেশ্য করে অরুণা বিশ্বাসের একটি মেসেজ ছিল,‘বয়স যদি কম থাকত পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম।’

আওয়ামীপন্থি তারকা হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী জোতিকা জ্যোতি। ‘আলো আসবেই’ নামক সেই গ্রুপে তার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে যেসব তারকা রাজপথে ছিলেন তাদেরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে তার একটি বিতর্কিত মন্তব্য। যেখানে এই নির্মাতাকে সরাসরি গালি দিতে দেখা যায় এই শিল্পীকে।

আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে ফারুকীর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরে সেই গ্রুপে জ্যোতি লেখেন, ‘কোন লেভেলের দেশদ্রোহী হলে এমন উসকানিমূলক কথা লেখা যায়। ওকে বা**র্ড ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। পুরো জঙ্গি স্টাইলে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। মিডিয়ার লাল গ্রুপের পুরো নেতৃত্ব দিচ্ছে সে। যেমন মিডিয়াটা নোংরা করছে, এখন দেশের দিকে ওর নজর পড়ছে।’

এছাড়াও জুলাই থেকে আগস্ট মাসে ওই গ্রুপের বিভিন্ন মেসেজে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়া তারকাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে ‘সাইজ’ করার আহ্বান জানান এই অভিনেত্রী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন ঊর্মিলা-রোকেয়া প্রাচী-সোহানা সাবা

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক মাধ্যমে সরব ছিলেন অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও রোকেয়া প্রাচী। সরকারের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন বার্তা প্রচারের চেষ্টা করেছেন তারা দু’জন। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপেও দেখা মিলেছে তাদের সেই কর্মকাণ্ডের চিত্র।

এর মধ্যে ঊর্মিলা প্রতিদিনই কোথায় কোন তারকা শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন, সেসব চিত্র ওই গ্রুপে তুলে ধরতেন। রোকেয়া প্রাচী কখনো ভিডিওবার্তা নিয়ে হাজির হতেন, আবার কখনো রাজপথে সরকারের হয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নেমে আসার আহ্বান জানাতেন।

সোহানা সাবাকেও একের পর এক স্ক্রিনশট শেয়ার করতে দেখা গেছে সেই গ্রুপে। এর মধ্যে ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সহশিল্পীদের নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন এই অভিনেত্রী।

শিল্পীদের মাঠে নামানোর কার্যক্রমে সরব ছিলেন সাজু খাদেম-ফেরদৌস-তানভীন সুইটি ও শামিমা তুষ্টি

জুলাইয়ের শেষদিকে রাজপথে শিক্ষার্থীদের পক্ষে যখন একদল শিল্পীরা মাঠে নেমে আসে, তখন আওয়ামীপন্থি ওই গ্রুপের তারকারাও সরব হয়ে ওঠেন। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন মানববন্ধন ও সমাবেশের ডাক দেন তারা।

অভিনেতা সাজু খাদেমের সমন্বয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। কবে, কখন তারকারা কোথায় হাজির হবেন সেসব আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেওয়া হতো ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে।

ঢাকা-১০ আসনের এমপি ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নেতৃত্বে আগস্টের শুরুতেই রাজপথে নেমে আসেন আওয়ামীপন্থি ওই শিল্পীরা। গ্রুপেই তাদেরকে আন্দোলনে যোগ দিতে বিভিন্ন নির্দেশনা ও চাপ প্রয়োগ করতে দেখা যায় এই নায়ককে।

এছাড়া আন্দোলনে কারা অংশ নিচ্ছেন, এসব তথ্য নিয়মিত সেই গ্রুপে শেয়ার করতেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি ও শামিমা তুষ্টি। এছাড়াও যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছিলেন, তাদেরও কড়া সমালোচনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে এই দুই শিল্পীকে।

দেশের নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা ও বদরুল আলম সৌদকেও সক্রিয়া দেখা গেছে ‘আলো আসবেই’ সেই গ্রুপে। এর মধ্যে গত ১ আগস্ট একটি মেসেজে সুবর্ণা মোস্তফাকে লিখতে দেখা যায়, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফেসবুক ব্যবহার করব না। যতদিন না এটা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার ভিডিও নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল তখনই ফেসবুককে ব্যঙ্গ করে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় এই তারকাকে।

একইদিনে সুবর্ণা মোস্তফার স্বামী নির্মাতা বদরুল আলম সৌদকে একটি মেসেজে লিখতে দেখা যায়, আজ ছাত্রদের স্লোগানে ইনকিলাব জিন্দাবাদ শুনতে হলো। এটা পাইক্কাদের স্লোগান। এখানে আসলো কি করে?

আন্দোলনের পক্ষে ‘এক দফা’ শীর্ষক ছবি কাভারে পোস্ট করেছিলেন তরুণ অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। সেই পোস্টের স্ক্রিনশট ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে দিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

জুলাইয়ে দেশে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তখন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের এই শিল্পীরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা না বলে উল্টো বিটিভি প্রাঙ্গণে গিয়ে টেলিভিশনটির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এসময় তারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন একইসঙ্গে শাস্তিও দাবি করেন।

বিটিভি প্রাঙ্গণে গিয়ে সেসময় কান্না-আহাজারিতে ভেঙে পড়া সেই শিল্পীদের ধিক্কার জানান ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। যে কারণে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে তাকে নিয়েও আলোচনা হয়।

সাদিয়া আয়মানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মাথা ঠিক ছিল না মিলনের!

যেখানে সাদিয়ার পরিচয় জানতে চান অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। জবাবে অভিনেত্রী মিলন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সময়ের তথাকথিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী।’

প্রায় মাসখানেক বাদে সম্প্রতি অভিনয়শিল্পীদের সেই আলাপচারিতার স্ক্রিনশট ফাঁস হলে মিলন ভট্টাচার্যের উদ্দেশে সাদিয়া আয়মান বলেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ মিলন দাদা, মানুষের মতো দেখতে, শিল্পী নামে শয়তান বেশধারীদের কাছে আমার মতো ‘এই সময়ের তথাকথিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী’কে চিনিয়েছেন। যে ভুলকে ভুল বলতে জানে, সত্যকে সত্য বলতে জানে। গ্রুপের নাম দিয়েছেন ‘আলো আসবেই’ তা বেশ ভালো। তবে আপনারা জানেন, আপনাদের নিজেদের জীবনে, মস্তিষ্কে সত্যিকারের আলোর যে ভীষণ প্রয়োজন?

অনেকেই গ্রুপে থেকেছেন তবে রাজপথে নামেননি

চিত্রনায়ক সায়মান সাদিক, অভিনেত্রী শাহনুর, আশনা হাবিব ভাবনাসহ আরও বেশ কিছু তারকা সেই গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। যারা ফেরদৌস-রিয়াজদের নির্দেশনা মোতাবেক রাজপথে নামতে পারেননি, তবে আন্দোলনের পক্ষ আছেন বলে জানিয়েছেন।

এর মধ্যে ১ আগস্ট যখন ফেরদৌস শিল্পীদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান, তখন চিত্রনায়িকা শাহনুরকে বলতে দেখা যায়- ‘আমরা যশোর আছি। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারছি না। কষ্ট লাগছে। আমি আপনাদের সাথে আছি সবসময়।’

একইসময়ে চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক ও অভিনেত্রী ভাবনাকেও একই রিপ্লাই দিতে দেখা যায়। এর মধ্যে ভাবনা জানান, আমরা একসঙ্গে কিশোরগঞ্জে থাকায় আসতে পারছি না। তবে মনটা পড়ে আছে। জয় বাংলা’

কারা ছিলেন সেই গ্রুপে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।

এই গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।

‘আলো আসবেই’ নামের সেই গ্রুপের স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হতেই অনেক তারকাই গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ বা এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস অন্যতম। আগস্টের শেষের দিকেই এই অভিনেত্রী কানাডা চলে গেছেন।

সরকার পতনের পর একপ্রকার ‘নিখোঁজ’ চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা যাচ্ছে না। নিজেদের মুঠোফোনও বন্ধ করে রেখেছেন।

ওই গ্রুপ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেছেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়।

আলোচিত সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকতে দেখা গেছে অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে। স্ক্রিনশটগুলো প্রকাশ্যে আসার পর এই অভিনেতা দাবি করেছেন, ‘একটা গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে ফোন নম্বর থাকলেই তিনি সেই গ্রুপে যাকে খুশি যতজন খুশি অ্যাড করতে পারেন। অনেক গ্রুপ আছে সেখান থেকে চাইলেও কেউ বের হতে পারে না। যদি এডমিন তাকে ডিলিট না করে। আলো আসবেই গ্রুপে আমি কখনো প্রবেশ করিনি বা কে কি লিখছে আমি যদি ওখানে না দেখি আমি কি করে জানবো ওখানে কি লিখছে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।’

এছাড়া অভিনেতা মিলন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রভাবের কারণে ওই গ্রুপে কি বলেছেন নিজেও বুঝতে পারছেন না। সেই গ্রুপে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে এই অভিনেতা বলেন, দুঃখিত, সে সময়ে দেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য। কি যে কথা বলেছি, সত্যিই বলছি- ‘মাথা ঠিক ছিল না’।

Header Ad
Header Ad

মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোটের ধাক্কায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ যাত্রী এবং বাকি তিনজন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনী।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানিয়েছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন লঞ্চের কর্মী ও ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ নাগরিক এবং তিন জন নৌবাহিনীর কর্মী ছিলেন।

এলিফ্যান্টা গুহার কাছেই লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চ, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু হয়।

দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি লঞ্চ আরব সাগরে ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত লঞ্চের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট পরে অনেক মানুষের ভিড়। লঞ্চের বেশির ভাগ অংশই তৎক্ষণে ডুবে গেছে। যে অংশটুকু পানির ওপরে রয়েছে, সেখানে আতঙ্কিত যাত্রীরা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশেই একটি স্পিড-বোট এবং অপর দুই তরীতে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছিল একটি তুলনামূলক বড় আকারের জাহাজও। একে একে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী।

মুম্বাই শহরের অদূরেই আরব সাগরের বুকে এলিফ্যান্টা দ্বীপে রয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি একগুচ্ছ গুহা। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের জন্য এটি মুম্বাইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও। এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার জন্য লঞ্চ পরিষেবা পাওয়া যায় মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে থেকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকেরাও এই লঞ্চগুলি ব্যবহার করেন।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টির ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধীরগতি রয়েছে।

এর আগে গতরাত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২ টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজ এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে করে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।

এদিকে, যানজটের কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে চলাচল করছে। এতে এই সড়কেও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়।

পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘনকুয়াশার কারণে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজের কাছে দুই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব সিঙ্গেল লেন থাকায় মুহূর্তে যানজট সৃষ্টি হয়।

ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি সরাতে অনেকটা সময় লাগে। এর কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা যৌথভাবে ট্রাক সরিয়ে নিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, ঘন কুয়াশা ও টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় মহাসড়কের সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ট্রাক দুইটি সরানোর পর গাড়ির ধীর গতি থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার পর স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।

Header Ad
Header Ad

গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

শেখ হাসিনা ও বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গুম বিষয়ে তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিচার প্রক্রিয়াকে ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে গুমসহ নানান অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নও উঠেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের এই অপরাধের তদন্তের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।

তিনি বলেন, আমরা এই অপরাধগুলোর তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং বিচারের জন্য ন্যায় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আহ্বান জানাই, যাতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পেতে পারেন।

এর আগে, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে এই কমিশন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছে- তারা সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন আয়োজন করবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ দেবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয় যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। অবশ্যই এই পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। এবং যেমনটা আমরা সমগ্র বিশ্বে চাই- শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষেই আমাদের অবস্থান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৫
মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!
গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
৫ বছর পর চালু হচ্ছে রংপুর চিনিকল, এলাকায় খুশির বন্যা
মোদির বিতর্কিত পোস্ট: যে বার্তা দিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার সাঁটালেন মেহজাবীন, সমালোচনার ঝড়
ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: তারেক রহমান
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
তাবলিগ ইস্যুতে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
নির্বাচনের জন্য ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউলের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক
দিনাজপুরে অর্ধকোটি টাকার নিষিদ্ধ ট্যাবলেটসহ আটক ২
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
শামা ওবায়েদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল