এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাংবাদিকরা একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু এফডিসিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় যেন সেই বিষয়টা একেবারেই হারিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীদের এমন হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সবাই। পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানান অনেকে। তবে সেদিন আসলে কী ঘটেছিল এফডিসিতে?
জানা গেছে, একজন ইউটিউবারের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল অভিনেতা শিবা শানুর। শপথগ্রহণ শেষ হলে ইউটিউবারকে ডেকে নেন তিনি। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও শুরু হয় বাগবিতণ্ডা।
পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে অনেকেই জানান, হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন।
এ ঘটনায় জয় চৌধুরী জানান, মূলত একসময়ের চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই এই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে। শপথ শেষে কার্যকরী পরিষদের মিটিং ছিল। আমরা সবাই তখন মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এফডিসিতে আসেন। কিন্তু বাইরে লোকজনের জন্য ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না তিনি।
এমন সময় দু-তিনজন ইউটিউবার ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলেন, তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন, ও তো সেলিব্রিটি না, ওর ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?
পরে এটা দেখে শিবা শানু ভাই ইউটিউবারদের স্টাডি রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এই কথার একপর্যায়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। রীতিমতো হাতাহাতি হয়। তারা শিবা শানু ভাইয়ের গায়ে হাত তুলেছেন। এবং তারা বাইরে দৌড়ে গিয়ে বলছেন, টিভি চ্যানেলের সবার গায়ে হাত দিয়েছে। পরে গণ্ডগোলটা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।
শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।