গোপনে দেশ ছাড়ার বিষয়ে মুখ খুললেন শাবনূর
চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত
অনেক দিন পর দেশে ফিরে সিনেমায় ফেরার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। এরমধ্যে তিনটি সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবরও জানান। কিন্তু কিছুদিন পরেই অনেকটা গোপনে দেশ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান এই নায়িকা। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শাবনূর। রবিবার বিকেলে এক ফেসবুকে পোস্টে জানান, তিনি গোপনে দেশে ছেড়ে যাননি এবং তার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি লিখেন, গত ১/০৩/২০২৪ তারিখ থেকে আমি লক্ষ্য করছি, আমার অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর খবর, দেখেশুনে মনে হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়া বলবার চেষ্টা করছে আমি নাকি সিনেমার ঘোষণা দিয়ে গোপনে দেশ ছেড়েছি, কবে ফিরব সেটা জানেন না কেউ, চিন্তায় পড়েছেন সিনেমাগুলোর পরিচালকরা। তারা রং-ঢং মাখিয়ে আরোও কত কিছু রটাচ্ছে! আশ্চর্যের ব্যাপার, এদের দেখাদেখি মূলধারার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াও মনগড়া খবর প্রকাশ করে ভাইরাল হবার প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। আমার সাথে কথা না বলেই যে যার মতো করে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।
তিনি আরও লিখেন, দেশের প্রায় সবাই জানেন, আমি এবং আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করি। আমার ছেলে এখন স্কুলে পড়াশোনা করে। কোন দরকার হলে বা লং হলিডেতে দেশে ঘুরতে আসি, আবার যখন প্রয়োজন হয় অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাই। তাই আমাকে কি ডাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে কখন দেশে আসব বা কখন দেশ ছাড়ব? এখানে গোপনে দেশ ত্যাগের কি আছে? আমি প্রায় তিন সপ্তাহ পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া চলে এসেছি। কিন্তু এতদিন পর মনে হয় করো করো ঘুম ভাঙল!
সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে এই নায়িকা লিখেন, আরও একটি কথা, যে ছবির মহরত হয়েছে সেটার শুটিং সময়মতোই হবে। আমার অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার কারণ ও সময় নেওয়ার বিষয়ে সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্টরা অবগত আছেন। আমি সবাইকে বিনীত অনুরোধ করব, আপনারা কোনো গুজবে, বা ভুয়া খবরে বিভ্রান্ত হবেন না। কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে বা অন্য কোন সিনেমার আপডেট থাকলে আমিই আপনাদেরকে সময়মত জানাব।
সবশেষে সদ্য রাজধানীর বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করে তিনি লিখেন, বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় আমি শোকাহত, বাকরুদ্ধ। আল্লাহ্ পাক যেন নিহতদের পরিবারের সবাইকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন, এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য্য দান করেন।