আমজাদ হোসেনকে হারানোর চার বছর
ঢাকাই সিনেমার নির্মাতা ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন। একাধারে তিনি গীতিকার, চিত্রনাট্যকার। লেখক হিসেবেও সুনাম ছড়িয়েছেন। নন্দিত এই চলচ্চিত্রকার ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।
এদিন আমজাদ হোসেনের প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ বরেণ্য চলচ্চিত্রকার স্মরণে শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
তাকে স্মরণ করে তার নিজ জন্মভূমি জামালপুরে এক শোক র্যালির আয়োজন করা হয়। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ মোট ৭৪টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র্যালি সকাল ১০টায় জামালপুর বকুলতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেনকে কবর দেওয়া পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়।দিনব্যাপী কোরানখানি, বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমিতে আমজাদ হোসেন স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমায় অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরবর্তীতে ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪), ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ও ‘কসাই’ চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করে আরও বেশি আলোচিত হন আমজাদ হোসেন।
ক্যারিয়ারে ১২ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এ ছাড়া ছয়বার বাচসাস পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন আমজাদ হোসেন।
এএম/এসএন