বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রতিদিন চোখ বন্ধ করে দেশের কথা কল্পনা করি: ফারুক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত কিংবদন্তি চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। অসুস্থ হয়ে এক বছর দশ মাস ধরে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল চিকিৎসা করে এখন সুস্থ হওয়ার পথে খ্যাতিমান এ অভিনেতা। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে তার শারীরিক অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ঢাকাপ্রকাশ: কেমন আছেন?

ফারুক: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন বেশ ভালো আছি।

ঢাকাপ্রকাশ: এখন কি পুরোপুরি সুস্থ?

ফারুক: এখন আমি সুস্থ। তারপরও টুকটাক ঝামেলা থাকেই। তবে আমি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছি। কথা বলতে পারছি। সবার দোয়ায় শরীরও অনেক ভালো আগের চেয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশে ফিরবেন কবে?

ফারুক: ডাক্তার বলেছেন সামান্য অসুস্থতা আছে। শতভাগ সুস্থ হতে আরও দুইমাস লাগবে। আমরা চাইলে এখনই দেশে ফিরে যেতে পারি। যেহেতু ডাক্তার আরও দুই মাসের কথা বলেছেন তাই তোমার ভাবী (ফারহানা ফারুক) চাচ্ছে ডাক্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু করতে। আল্লাহ চাইলে নতুন বছরের শুরুর দিকে দেশে ফিরব, ইনশাহআল্লাহ।

ঢাকাপ্রকাশ: সুস্থ হয়ে কোন বিষয়টি বেশি মনে পড়ছে?

ফারুক: আমার স্ত্রীর কথাই বেশি মনে পড়ছে। তিনি সর্বক্ষণ আমার পাশে থেকে যেভাবে কষ্ট করছেন সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া। আমি কপাল গুণে এমন একজন স্ত্রী পেয়েছি। খোদার অশেষ রহমত ছাড়া এমন জীবনসঙ্গী পাওয়া সম্ভব নয় (কান্না...)। আমার স্ত্রীর কষ্টটা নজিরবিহীন।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের কথা মনে পড়ে না?

ফারুক: কী বলো...! দেশই হলো আমার প্রাণ। প্রতিদিন চোখ বন্ধ করে দেশের কথা কল্পনা করি। দেশের মানুষের কথা, চলচ্চিত্রের মানুষদের কথা আমার ভীষণ মনে পড়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আপনার নির্বাচিত এলাকার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কাজও করতে পারেননি। এজন্য কষ্ট বা খারাপ লাগে না?

ফারুক: এজন্য কী পরিমাণ যে কষ্ট লাগে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ৩১ বছর মুজিব কোট পরে চিৎকার (কান্না) করেছি। প্রধানমন্ত্রী প্রিয় আপা আমাকে সুযোগও দিয়েছেন। ভেবেছিলাম এবার মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় সুযোগ পেয়েও মানুষের জন্য কাজ করতে পারলাম না। অসুস্থতা আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এ জন্য খুব কষ্ট হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: আবারও কি নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে?

ফারুক: মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। দলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতা অনেক। তাই মানুষের জন্য কাজ করার জন্য আমি আরেকবার সুযোগ চাই। জানি না সেটা পাব কিনা। তবে আপা (শেখ হাসিনা) অনেক মহৎ ও উদার। আশা করি মানুষের জন্য কাজ করার জন্য আমাকে আরেকবার সুযোগ দেবেন। রাজনীতি ছাড়া আমি বাঁচবই না। রাজনীতিতে আমি থাকবই।

ঢাকাপ্রকাশ: শোনা যাচ্ছে আপনার চিকিৎসার জন্য সরকার থেকে ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছেন। এটা কি সত্যি?

ফারুক: আমি প্রথম যখন অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হই তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমার চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। সেই টাকাটা আসলে আমার কী যে উপকার হয়েছিল তা বলে বোঝাতে পারব না। এ ছাড়া, এমপি হিসেবে আমি আমার বেতনটা নিচ্ছি শুধু। প্রায় চার বছর ধরে আমি অসুস্থ। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অনেক বেশি টাকা লাগে। আমার চিকিৎসার জন্য আমার সারাজীবনের সঞ্চয় তিনটা বাড়ি বিক্রি করেছি। গ্রামের অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছি।

ঢাকাপ্রকাশ: চলচ্চিত্রের কেউ কি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতার কথা বলেনি?

ফারুক: ফিল্মের তেমন কেউ যোগাযোগ করে আমাকে সহযোগিতার কথা বলেনি। শুধু ডিপজল ফোন করে বারবার বলেছে মামা আপনার কী লাগবে। কোনো কিছু লাগলে আমাকে জানাবেন। আল্লাহর রহমতে কারো সহযোগিতার প্রয়োজনও হয়নি। এ ছাড়া, পরিচালক ও এডিটর দেবুদা নিয়মিত আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।  

ঢাকাপ্রকাশ: চলচ্চিত্রের মানুষদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?

ফারুক: আমি তো সব সময় তাদেরকে ভালোবাসি। গানের লাইনের মতো বলতে চাই ‘আমি আছি থাকব, ভালোবেসে মরব’।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকাপ্রকাশকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ফারুক: তোমাকেও ধন্যবাদ, সেইসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশের জন্য শুভকামনা রইল।

এএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশ করেছে ২০২৪ সালের এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং। এবারের তালিকায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। তারা যৌথভাবে র‍্যাংকিংয়ের ৩০১ থেকে ৩৫০ অবস্থানে রয়েছে।

‎বুধবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন এ বছরের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। তালিকায় এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চলের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এটি ১৩ তম সংস্করণ।

‎তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ অভিযোগে চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান। এতে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা অশ্লীল ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ এনে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন এবং নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে। ফলে এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নামিদামি সেলিব্রেটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক ডাক্তার নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধ এবং সামগ্রীর বিক্রয়ের জন্য অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ডাক্তার জাহাঙ্গির কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য এবং ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওইসব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে। বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগজনক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এইসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রপ, যা দন্ডবিধির ২৬৮ধারা অনুযায়ী অপরাধ। ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার এবং প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনসাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর এবং বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

অবিলম্বে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিবাদীদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

নোটিশে আইনি নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যদি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

Header Ad
Header Ad

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল এবং ভাতিজা বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক