‘ডানকি’ জাদুতে মুগ্ধ দর্শক
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেল বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের অন্যতম প্রত্যাশিত চলচ্চিত্র ‘ডানকি।’ এ বছর শাহরুখ খানের পাঠান ও জাওয়ানের মতো সিনেমা আলোচনায় থাকলেও ডানকি ছিল দর্শকদের আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ, প্রথমবারের মতো রাজকুমার হিরানির সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেন শাহরুখ খান।
একদিকে বলিউডের সবচেয়ে গুণী নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম হিরানি, অপরদিকে সুপারস্টার শাহরুখ খান। এই জুটির ‘ডানকি’ তাই আকাশ সমান প্রত্যাশা নিয়েই মুক্তি পেল। আর মুক্তির পর দর্শক অনুরাগীদের প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ করতে পেরেছে ডানকি। সিনেমা হলে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় আর সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনকদের পজিটিভ রিভিউ সেটাই প্রমাণ করছে।
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, হার্ডি (শাহরুখ খান) পেশায় একজন সেনা অফিসার ছিলেন। যিনি গুলিবিদ্ধ হলে এক অ্যাথলেট তাকে প্রাণে বাঁচায়। এরপর সেই অ্যাথলেটের টেপ রেকর্ডার যা হার্ডির কাছে থেকে গিয়েছিল সেটা তিনি তার বাড়িতে ফেরত দিতে গিয়ে প্রেমে পড়েন মনুর (তাপসী পান্নু)। সেখানে নতুন জীবনের সন্ধান পান হার্ডি। পেয়ে যান কিছু বন্ধুও।
এদিকে মনু এবং তার বন্ধুরা নিজেদের সুন্দর ভবিষতের জন্য বিদেশ যেতে চান, কিন্তু দুর্বল ইংরেজির জন্য ভিসা পান না। তখন প্রেমিকা এবং বন্ধুদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে তাদের নিয়ে হার্ডি বেরিয়ে পড়েন লন্ডনের উদ্দেশ্যে। এই যাত্রা নিয়েই ডানকির গল্প। সিনেমার গল্পে দারুণ সব টুইস্ট, ভরপুর ইমোশন, কমেডি এবং বেশ কিছু অ্যাকশনও রয়েছে। দর্শকদের জন্য একটি কমপ্লিট প্যাকেজ ডানকি।
হিরানির জাদুতে মুগ্ধ করেছেন শাহরুখ খান, এমনটাই রব উঠেছে চারপাশে। সিনেমাহল থেকে বের হওয়া দর্শক ও সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে ডানকি। শাহরুখ-হিরানি জুটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। ডানকিতে হার্ডি চরিত্রে শাহরুখ খান ছিলেন অনবদ্য। তিনি তার চরিত্রে দারুণ কারিশমা নিয়ে আসেন। তার কোর্টরুমের সেই দৃশ্যকে ৪ দশক জুড়ে বিস্তৃত তার ক্যারিয়ারের সেরা দৃশ্য হিসেবেই বিবেচনা করছেন দর্শক সমালোচকরা। গোটা গল্পটি নিজের কাঁধে টেনে নিয়ে গেছেন শাহরুখ খান। শাহরুখের সঙ্গী হিসেবে তাপসী পান্নুও ছিলেন দুর্দান্ত। তার পারফরম্যান্সে যে আত্মবিশ্বাস দেখা গেছে তা মন জয় করেছে ভক্তদের।
মনুর চরিত্রটি তাপসী পান্নুর ফিল্মগ্রাফিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলেই মতামত প্রকাশ করছেন সমালোচকরা। বাল্লি এবং বুগু চরিত্রে অনিল গ্রোভার এবং বিক্রম কোচার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন। তাদের জাদুকরী উপস্থিতি চলচ্চিত্রটিকে আরও পরিপূর্ণ করেছে। ইমান বোরানিও ছিলেন নিজের চরিত্রে অনবদ্য। অভিনয়ের দিক থেকে ডানকির প্রত্যেকেই ছিলেন অনুকরণীয়। ফলাফল, দর্শক হৃদয়ে তোলপাড় করে গেছে ডানকি।
সিনেমাহল থেকে বেরিয়ে ডানকির মুগ্ধতায় নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন দর্শক অনুরাগীরা। সামাজিক মাধ্যমেও একের পর এক পজিটিভ রিভিউ আসতে শুরু করেছে ডানকির। সমালোচক থেকে সাধারণ দর্শক, ডানকির জয়জয়কার সবার মুখে। কারও কারও মতে, এটিই শাহরুখ খানের ক্যারিয়ার সেরা সিনেমা। কেউ বা বলছেন, এই দর্শকে কালজয়ী সিনেমা হিসেবেই ডানকি থেকে যাবে দর্শকমনে।