রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাতকার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘মহানায়ক’ গানটি তৈরি করতে তিন বছর লেগেছে: মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সাড়াজাগানো গান ‘মহানায়ক’। এ গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার ও কবি মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন ইজ্ঞিনিয়ার এবং রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। কিন্তু গান ও কবিতা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার লেখা গান গেয়েছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কণ্ঠশিল্পী। সেসব গানে উঠে এসেছে স্বদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং মা-মাটি ও মানুষের কথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘মহানায়ক’ তার অন্যতম সেরা সৃষ্টি। মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পত্রিকা ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ‘মহানায়নক’ লেখার প্রেক্ষাপট, গান লেখার অনুপ্রেরণা ও তার জীবন-স্বপ্ন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ‘এডিটর’স টক’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর প্রধান সম্পাদক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল

মোস্তফা কামাল: মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সম্প্রতি আপনার লেখা গান ‘মহানায়ক’ মুক্তি পেয়েছে। এ গানটি গেয়েছেন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের প্রাক্তন ভোকালিস্ট খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী মিজান রহমান। আলাপচারিতার শুরুতে ‘মহানায়ক’ লেখার অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জানতে চাই।
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: এ গান লেখার মূলেই দেশপ্রেম। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। তার যে দীর্ঘ ঐতিহাসিক জীবন আমরা দেখেছি, সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বাংলাদেশকে নিয়ে আমি ভাবি সবসময়ই। বেশ কয়েকটি শব্দ প্রায় সবসময়ই আমাকে গভীর ভাবে নাড়া দেয়। যেমন, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা।
আমি মনে করি, একাত্তরের চেতনা ধারণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মূলত আমার সব গানই এই চেতনাবোধ থেকে লেখা। যেহেতু বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রধান নিয়ামক, তাকে নিয়ে তার এই জন্মশতবার্ষিকীতে একটা গান লেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমার ছিলো। এ আকাঙ্ক্ষাই গানটি লেখার প্রধান কারণ।

মোস্তফা কামাল: গানটি কবে লিখেছেন এবং লিখতে আপনার কতদিন সময় লেগেছে?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: ২০১৯-এর শুরু থেকেই আমি গানটি লেখার চেষ্টা করছিলাম। এ কাজটি আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ব্যক্তিত্বকে গানের লাইনে নিয়ে আসাটা সহজ কাজ নয়। গানের লাইনে তো সীমাবদ্ধতা থাকে। কমপ্লিট একটা গান লেখার ইচ্ছে আমার ছিল। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে আমি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলাম, তখন আমার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান লেখার তীব্র এক ইচ্ছে কাজ করছিল। ট্রেনে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আমি এই গানটি নিয়েই একাগ্রভাবে কাজ করছিলাম। ট্রেন যখন ঢাকা প্রবেশ করল, তখন গানটির যে অবয়ব তৈরি হয়, সেটিতে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধুকে আমার গানে ধারণ করতে পেরেছি।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুকে নিজের ভেতরে ধারণ না করলে এমন একটি গান রচনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান সৃষ্টির পরে আপনার অনুভূতি কেমন ছিল? আপনার কি মনে হয়েছিল যে আপনি বেশেষ কিছু রচনা করে ফেলেছেন?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আসলে গানটি লেখা শুরু করেছি অনেক আগে থেকে। ২০১৯-এর শুরু থেকে। আমি প্রথমে একটি লাইনও লিখতে পারছিলাম না। শব্দ লিখে যাচ্ছি কিন্ত মনে হচ্ছে যা লিখছি তাতে গান হবে না, যা বলতে চাচ্ছি বলা হচ্ছে না। ঠিকভাবে কিছুই প্রকাশ করতে পারছি না। এভাবে দিনের পর দিন গেছে। কিন্ত ট্রেনে ওইদিন যখন আমি শব্দগুলো বসাতে শুরু করলাম, প্রথম অন্তরার কিছু লাইন আমার উঠে গেল, তখন মনে হলে এইতো আমি পারছি। পরে ধীরে ধীরে প্রথম অন্তরা, দ্বিতীয় অন্তরা তৈরি হয়ে গেল। পরবর্তিতে আমাকে কিছু কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। ট্রেনে মনে হচ্ছিল যে, আমি যা চাচ্ছি তা গান থেকেই বের হবে। তখন আমার অনুভূতিটি ছিল দারুণ।

মোস্তফা কামাল: উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত গানটি নিয়ে আপনার ভাবনার জায়গাটি কেমন ছিল? অর্থাৎ গানটিতে কে সুর করবেন, কিভাবে চিত্রায়িত হবে কিংবা গানটির যথাযথ মূল্যায়ন হবে কিনা এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কেমন ছিল?

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: গানটি তৈরি করতে প্রায় তিন বছর লেগেছে। এটি একটি সন্তান মানুষ করার মতো। অতীতে আমি লেখালেখিতে ছিলাম না। আমি অন্য পেশার মানুষ। গানের সঙ্গে আমার সখ্যতা কম। তো গানটিকে মনে হয়েছে অতি যত্নে রাখার মতো একটা বিষয়। আগের গানগুলো আমি সেভাবে করতে পারিনি। আমি অনেকদিন ধরে এমন একজন সুরকার খুঁজছিলাম, যাকে দিয়ে সুর করালে গানটি পূর্ণতা পাবে। যাতে করে গানের কথাগুলো নষ্ট না হয়। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে আমি সরকার রাজেশ ঘোষের সন্ধান পেলাম। তিনি দারুণ সুর করেন এবং অসম্ভব ভালো একজন মানুষ। আমরা গানটি নিয়ে কথা বলি। আমাদের আলোচনায় উঠে আসে যে এটি কথাপ্রধান একটি গান। গানটির কথাগুলো যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেভাবেই সুর করতে হবে। সুরকার রাজেশ ঘোষ গানটিতে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা টাই করেছেন। সুর করার পরে গানটি গাওয়ার জন্য আমি বহু শিল্পীকে গানটি শুনিয়েছি। পরে শিল্পী মিজান রহমানকে পেলাম। তিনি তন্ময় হয়েও আমার গানটি শুনলেন। আমার মনে হচ্ছিলো সঠিক মানুষটিকেই আমি পেয়েছি। সুর তোলার আগেই করোনাকাল শুরু হলো। গানটিকে নিয়ে খুব চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। পরে ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে গানটিতে কন্ঠ দেয়া হয়। এ গানটিতে সবার যত্ন আছে। আমরা যারা এটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি করার পেছনে কাজ করেছি, প্রত্যেকেই গানটিকে খুব ভালোবাসি।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার আর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: যে বাংলাদেশে আমরা বাস করছি এবং এ দেশ যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি, তাদের কিন্ত আমরা ভুলতে বসেছি। আমি আমার গানের মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও আমার গান রয়েছে।

মোস্তফা কামাল: মুক্তিযুদ্ধ, বীরাঙ্গনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখার বিষয়টি আপনি কিভাবে নিজের ভেতর ধারণ করলেন?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আমি অতীতে কখনও লিখিনি। মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কারণেই আমি গীতিকার হয়েছি। চেতনাটি এত গভীর যে আমার মতো অগভীর একজন মানুষের মধ্যেও অনেক শব্দ তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়ে গেছেন, তাদেরকে আমরা যথাযথভাবে স্মরণ করছি না। তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করছি না। এই চেতনা থেকেই আমি সবগুলো গান লিখেছি। আমার সবগুল গান এমনভাবে লেখা হয়েছে , যাতে করে গান শুনলে এ দেশের নাগরিকদের মনে হয় মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। এ দেশকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। তাহলেই একাত্তরের চেতনা কাজ করবে। এ চেতনাবোধ ও দায়িত্ববোধ থেকেই আমি দেশের জন্যে লিখি।

মোস্তফা কামাল: আপনার কবি ও গীতিকার হয়ে ওঠার নেপথ্যের কথা যদি বলতেন, আপনি তো অতীতে লিখতেন না। হঠাৎ করে লেখালেখিতে আসার পেছনের ঘটনাটি আমরা জানতে চাচ্ছি।
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকেই আমার লেখালেখিতে আসা। তবে ২০০৭ সালে চাকরিসূত্রে আমি বদলি হয়ে যাই রাজশাহীতে এবং প্রথম বারের মত আমি পরিবার ছাড়া ওখানে একা থাকি। একা থাকায় দায়িত্ব কম ছিল। প্রতিদিন অফিসেরকাজ শেষ করে পদ্মা নদীর পাড়ে হাঁটতে যেতাম। পদ্মার পাড় দিয়ে যখন হাটতাম, তখন পদ্মা নিয়ে আব্দুল আলীমের গান, নজরুলের গান মনে পরত । এ ভাবনাগুলোই সম্ভবত একসময় আমার মধ্যে কবিত্বের সৃষ্টি করে। এরপর থেকে আমি লিখেই চলেছি।

মোস্তফা কামাল: আমরা আশা করি, আপনার থেকে আরও ভালো গান পাব। আপনি সরকারি কাজ নিয়ে সবসময় অনেক ব্যস্ত থাকেন। লেখালেখির কখন করেন কিংবা লেখালেখির জন্য অবসর সময় পান কিনা?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আমার লেখার জন্য অবসরের প্রয়োজন নেই। আমি তো গান লিখি। তাতে থাকে মাত্র কয়েকটি লাইন। যখন তখন মাথার ভেতরে শব্দ বা লাইনগুলো ঘুরতে থাকে, সেটি কাজ করতে থাকে, তখন বসে বসে কিংবা শুয়েও সম্ভব লেখা সম্ভব। যেহেতু আমি অনেক শব্দ দিয়ে বড়ো কোনো উপন্যাস লিখি না আপনার মতো, উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকগুলো প্লট চিন্তা করতে হয় এবং সেই প্লট ধরে এগুতে হয়। আমার সেই ঝামেলা নেই। আমি নির্দিষ্ট একটি ভাবনা নিয়ে থাকি। সেই ভাবনা বা মেসেজটি কোন কোন শব্দ দিয়ে তৈরি করে যেতে পারে এবং গানের অন্তরা যাতে ঠিক থাকে ও মানুষের কাছে যাদে মেসেজটি ঠিকভাবে পৌঁছায় এটিই আমার ভাবনা।

মোস্তফা কামাল: গান নিয়ে আমরা আপনার ভ‌বিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গান আমি লিখে যাব। সবধরণের গান আমি শুনি, তবে আধুনিক গান সবচেয়ে বেশি শুনি। কারণ আধুনিক গান মানেই নতুন প্রজন্মের গান। আমাদের নতুন প্রজন্ম কী করছে, সংগীত জগতে নতুন প্রজন্ম কী কন্ট্রিবিউসন করছে এবং গান নিয়ে তাদের ভাবনা কী, এটি আমার জানার খুব ইচ্ছে। যখনই কোন ভালো একটি নতুন গান বের হয়, তখনই আমি খুশি হয়ে যাই। আমি অনেক গান লিখে যাব, তবে যা লিখব তা যেন বাংলাদেশের সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করতে পারে, সেই আকাঙ্ক্ষাই রইল।

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে—এমন অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে চলমান শুনানিতে তিনি এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় প্রসিকিউশন টিমকে।

ব্রিফ করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চিফ প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, "তথ্য-প্রমাণে এটা পরিষ্কার, অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।"

এর আগে সকালেই প্রিজনভ্যানে করে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন– আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সোলাইমান সেলিম, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাহাংগীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।

Header Ad
Header Ad

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে চীন ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, ঢাকার ধামরাইয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়া, একটি ১,০০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন নিয়েও আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ চীনের জন্য স্বাস্থ্য খাতে একটি ভালো বাজার হতে পারে।” একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, “চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর সফল হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর