শিক্ষাঙ্গনে ফিরল শিক্ষার্থীরা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ দিন বন্ধ থাকার পর আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে সকাল থেকেই প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিক্ষাঙ্গন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
এ দফায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে। ২ মার্চ থেকে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এখনই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর ক্ষেত্রে ২০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নির্দেশনা মেনেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। মাস্ক পরে, শিক্ষাঙ্গণের প্রবেশপথে টিকা কার্ড প্রদর্শন করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রবেশ পথে তাপমাত্রাও মাপা হয়েছে।
বিদ্যালয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। ইস্পাহানি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিশাখা বলেন, ‘আবারও স্কুলে এসে খুবই ভালো লাগছে। অনলাইনের ক্লাস ভালো লাগছিল না। স্কুলে কখন যে আসব সে অপেক্ষায় ছিলাম। বন্ধুদের দেখে ভালো লাগছে।’
তবে অভিভাবকদের জটলার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হচ্ছে না।
এদিকে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে এখনই সব শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন না। যারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন তারাই শুধু শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবেন। বাকিরা অনলাইনের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে অংশ নেবেন।
সশরীরে ক্লাস শুরু হলেও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম এখনই শুরু হচ্ছে না। নির্দেশনা অনুসারে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির সপ্তাহে দুই দিন, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে পাঁচ দিন হওয়ার কথা। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে চার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপি/টিটি