শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সুসংবাদ, জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে উপবৃত্তি

ছবি: সংগৃহীত

দেশের শিক্ষার বৃহৎ একটি অংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চরম বৈষ্যম্যের শিকার হয়ে আসছে তারা। শিক্ষা কারিকুলাম থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো ও সরকারি নানা সুবিধায় পিছিয়ে রয়েছে। এক সময় সরকারি প্রাথমিকের সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই তা বন্ধ করে দেয় সরকার।

কিন্তু নতুন বছরে আবারও আসছে সুসংবাদ। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই মাদ্রাসার খুদে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় আসছে।

দীর্ঘদিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। এই অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকেও মিলেছে অনুমোদন। এতে প্রথম পর্যায়ে ৪৪২৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে। আগামী বছরের জুলাই থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় আসবে।

সূত্র বলছে, শিক্ষার্থী প্রতি প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাসিক ১৫০ টাকা উপবৃত্তি বাবদ আর্থিক সহায়তা পাবে। এই অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে মা অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সারা দেশে সংযুক্ত এমপিওভুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে ৮২২৯টি। এমপিওবিহীন রয়েছে ১০৩৬টি। দেশে অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে ১৫১৯টি। অনুদানের বাইর আছে আরও ২৩২০ মাদ্রাসা। এই পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা ৩৮৩৯টি। প্রথম পর্যায়ে (জানুয়ারি-জুন) চার লাখ ৪১ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী এই উপবৃত্তির আওতায় আসবে। আগামী বছরের জুলাই থেকে বাকি শিক্ষার্থীদের হাতেও তুলে দেওয়া হবে উপবৃত্তির টাকা।

উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা থেকে জানা যায়, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে পাঠ্যদিবসে অন্তত ৮০ ভাগ দিন উপস্থিত থাকতে হবে। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ উপস্থিতি ছাড়াও ফল সন্তোষজনক হতে হবে। অকৃতকার্য হলে সেই শিক্ষার্থী উপবৃত্তির যোগ্যতা হারাবে।

পরবর্তী মাসে সে যোগ্যতা অর্জন করলে আবারও তাকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাদ্রাসায় আসা সম্ভব না হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে বৃত্তি প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে উপবৃত্তি প্রদানে তৈরি হয়েছে সফটওয়্যার। সম্পূর্ণ ডিজিটালি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এর জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তর সফটওয়্যারও তৈরি করেছে।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

তবে জাতীয় স্বার্থে অরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি দুই মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ট্যারিফ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।

রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।

এছাড়া ভারতের মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে অভিযোগ তোলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ফরেন সার্ভিস ডে'তে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেন আলীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক পাড়ায় বাংলাদেশ মিশনের যাত্রা শুরুর বিষয়টি তুলে ধরেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

Header Ad
Header Ad

টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় পূর্ব আরিচপুর রূপবানের মারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

নিহতরা হলো- আব্দুল্লাহ (৪) ও মালিহা (৬)। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে ও মেয়ে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, আব্দুল বাতেন মিয়া পরিবার নিয়ে পূর্ব আরিচপুরের রূপবানের টেক এলাকার একটি আটতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান ছিলেন নানাবাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে মা সালেহা বেগম মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের মেঝেতে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

পরিবারের ধারণা, বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ফ্ল্যাটে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে শিশুদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পরিচালিত এক অভিযানে ১৬৫ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫০৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে শহরের মেদান ইম্বির একটি বাণিজ্যিক এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

এই যৌথ অভিযানে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের সদর দপ্তর এবং নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের মোট ১৮৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এছাড়াও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার সদস্যরাও অভিযানে সহায়তা করেন।

মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমস জানায়, আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন সবচেয়ে বেশি—১৬৫ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৪ জন ছিলেন নেপালি। এছাড়া মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। অভিযান থেকে ৫৮ জন নারী অভিবাসীকেও আটক করা হয়। তবে তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নারী ছিলেন না।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো জাকারিয়া বিন শাবান সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জনকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

তিনি আরও জানান, অভিযান চলাকালে অনেক অভিবাসী নিজেকে আড়াল করতে ঘর, টয়লেট, স্টোররুমসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। তাদের বিরুদ্ধে পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত মেয়াদে অবস্থান, জাল কার্ড ব্যবহার ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান চলমান থাকবে। বিদেশি কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে রাখেন এবং দেশের অভিবাসন আইন মেনে চলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা