চবি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি সম্পন্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে দুই শিক্ষার্থীর ভর্তির অনুমোদন নিশ্চিত করলো সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির অনুমোদন দেয়।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ১০৯১তম স্থান লাভ করা জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন ও বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪৩৪তম অবস্থানে থাকা ফাহিমা আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছি। তাদের ভর্তি হতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
এদিকে দীর্ঘসময় পর আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফেরদৌস নাহিন ও ফাহিমা আক্তার। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তির সুযোগ হয়নি। এতদিন খুব চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে চিন্তামুক্ত হলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়া চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ বি সি ইউনিটে) মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এ ছাড়া ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।
এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ডি-ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর শুনানিতে ৮২ শিক্ষার্থী নয়, কেবল যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জেডকে/এমএসপি