কমিটি বিড়ম্বনায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেতন বন্ধের শঙ্কা
ফাইল ছবি
সারাদেশে কয়েক হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারে পদত্যাগের পর এসব প্রতিষ্ঠানের বেতন বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা হয়ে থাকে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে। কিন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমল থেকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারীর পদসহ বিভিন্ন পদের দখল রয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের হাতেই। তবে সরকারের পতনের পর জনতার ক্ষোভের মুখে গাঁ ঢাকা দিয়ে রয়েছেন দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজিং কমিটির অনুপুস্থিতে গত জুলাই মাসের বেতন পাননি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেই সাথে আগামী মাস গুলোতেও বেতন বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান, ’’সরকার পরিবর্তন হলেও বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য পদে দলটির নেতা-কর্মীরাই বহাল আছেন। অধিকাংশই গাঁ ঢাকা দিয়ে রয়েছেন । এর ফলে একধরনের বিরম্বনার মধ্যে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সাথে এসব প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে থাকা টাকাও সরিয়ে ফেলার সম্ভাবনা দেখছি।’’
তিনি আরো বলেন, ’’দ্রুত এসব প্রতিষ্ঠানের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি দিতে হবে। তা নাহলে বেতন অনিশ্চয়তা ভুগবে সারা দেশের কয়েক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীরা। সঠিক সময়ে বেতন-ভাতা না পেলে চরম বিপাকে পড়তে হবে আমাদের।’’
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই ছাত্র-জনতার ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। তারপর থেকেই দেশজুড়ে পলাতক রয়েছেন আওয়ামী লীগ সহ দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা।