যৌন হয়রানির অভিযোগ
বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষকের পদত্যাগ চায় শিক্ষার্থীরা
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) যৌন হয়রানির অভিযোগে কৃষি বিভাগের শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বরাবর এ আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এইচএম আনিসুজ্জামান বর্তমানে কৃষি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশিত যৌন হয়রানি, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে আনীত অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে তাকে একাডেমিক সব কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।
এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ভাইরাল হয়। ফোনালাপকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু আমাদের এ শিক্ষকের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যাতিক্রম। তিনি বিভিন্ন সময় জোর করে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন।
এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। অনেকের পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর বাড়া-কমাও তার ইচ্ছে মতো হয়ে থাকে। বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের ডিন ড. মো. মোজাহার আলী বলেন, ‘পরীক্ষাবিষয়ক অনিয়মের বিষয়টি সত্য। তবে পরে তা শিক্ষকদের সম্মতিতে সংশোধনও করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির বিষয়ে ভুক্তভোগীর কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তার অব্যাহতির বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের শিক্ষক আনিসুজ্জামানের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগটি গ্রহণ করেছি। অফিসিয়াল নিয়মানুযায়ী আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। শিক্ষক হিসেবে ওই বিভাগে যোগদানের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসএআই/এমএসপি