কোচিং সেন্টারও বন্ধ
বাধ্য হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি : শিক্ষামন্ত্রী
দুই সপ্তাহের জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলমের সঙ্গে আমার কথা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গার হাসপাতালের চিত্র নিয়ে তিনি বলেন যে, শিশুদের মধ্যে একটা সংক্রমণ ঘটছে। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিই। মাঠের চিত্রের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপাতত দুই সপ্তাহ আমরা সশরীরে ক্লাসে যেতে নিষেধ করেছি। এই সময়ে অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সেখানেও সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের এখন যেভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে, অসুস্থ হলে আইসোলেশন বা বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সব কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। কারণ, সেখানেও শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং শিক্ষা অফিসের কার্যালয় খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে কাজ চলবে। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হয়। কয়েক দফায় বাড়ে সেই ছুটি। দেড় বছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
এপি/এএন