২ বছর পর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু ১২ মার্চ

দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার জাতীয় প্রাথমিক সপ্তাহ উদযাপন করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’। করোনার কারণে গত দুই বছর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালন করা হয়নি।
আগামী রবিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদকও প্রদান করা হবে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশব্যাপি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা, শিক্ষা মেলাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদকও প্রদান করা হবে। ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জন এবং ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জনকে এই পদক দেওয়া হবে। একইভাব ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেয়া হবে।
২০১৩ এর পদক নীতিমালা অনুযায়ী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী শিশুরা যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পাবেন। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ২৫ হাজার টাকা, একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পাবেন।
শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আগামীদিনের সুনাগরিক গড়ে তুলতে শিশুদের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকার সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে ২ বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিকবৃত্তি প্রদানসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধিকল্পে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।
এনএইচবি/এএস
