‘পুলিশ তুমি ফুল নাও, ফুল নিয়ে বাড়ি যাও’
আবার উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিক্ষোভ করে বিকাল সাড়ে ৪টায় তারা উপাচার্য বাসভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফুল হাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশও সতর্ক অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ফুল দিয়ে স্লোগান দেন, 'পুলিশ তুমি ফুল নাও, ফুল নিয়ে বাড়ি যাও'।
শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করে, 'ক্যাম্পাস কারও বাপের না, হল আমরা ছাড়বো না, এক দুই তিন চার, ফরিদ তুই গদি ছাড়, আমাদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, হল আমরা ছাড়বো না, যে ভিসি ছাত্র মারে তারে আমরা চাই না' ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে পুলিশের সাজোয়া যান প্রস্তুত থাকতে দেখা গেছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতির তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বলেন, রবিবারের ঘটনা খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে গঠিত কমিটিকে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
সোমবার বেলা ১২ টায় উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার কথা। কিন্তু তারা হল ছাড়েননি, উল্টো উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছেন। সেই সঙ্গে সকল হলে শিক্ষার্থীরা তালা দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাউকে হলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তবে কিছু ছাত্রীকে তাদের পরিবারের সদস্য এসে হল থেকে নিয়ে গেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, গণস্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে স্মারকলিপি পাঠাবেন। প্রথমে তিন দফা দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হলেও এবার কেবল উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার রাতে আন্দোলনের মুখে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট জাফরিন লিজার। তার পরিবর্তে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে।
এসইউ/এএন