সহনশীল পরিস্থিতির স্বার্থে বই প্রত্যাহার: এনসিটিবি

সহনশীল পরিস্থিতির স্বার্থে চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বইয়ের পাঠদান প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাহার হওয়া বই দুটিতে ভুলত্রুটি আছে বলে আমরা মনে করি না। তবে বানান ভুল থাকতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা সবার কাছে বিতর্কহীন থাকার চেষ্টা করি।’
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিতর্কের মুখে চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয় ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটির পাঠদান প্রত্যাহারের ব্যাখ্যা তিনি।
‘বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সমতাভিত্তিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমবিষয়ক অপপ্রচার বন্ধ হোক’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি নামের একটি সংগঠন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি অনেকটা আকস্মিকভাবেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই দুটি বই প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিল এনসিটিবি।
রাষ্ট্রও চায় সবার কাছে একটি সহনশীল পর্যায় থাকুক। সে রকম অবস্থায় তারা বিবেচনা করেছেন যে এই দুটি পাঠ্যবই যদি প্রত্যাহারও হয়, তাতে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে না। তবে এটি থাকলে হয়তো আরেকটু সহায়তা করত।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রত্যাহার এবং অপপ্রচার প্রসঙ্গে মশিউজ্জামান আরও বলেন, গত ৩ জানুয়ারির পর তারা একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তারা লক্ষ্য করেছেন, নির্বাচনের আগের বছরে এগুলো (অপপ্রচার) বেশি করা হয়। ২০১৭ সালেও অপপ্রচার হয়েছে। এবারের অপপ্রচার মাত্রাহীন এবং মিথ্যা প্রচারণায় ভরপুর ছিল। তাদের পক্ষ (সরকার ও এনসিটিবি) থেকে এগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা ছিল।
মশিউজ্জামান বলেন, ‘তখন একটু অসহায় বোধ করেছি, তখন আপনারা কেউ আমাদের পাশে ছিলেন না।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ‘পাশে না থাকার’ কথাটুকুতে দ্বিমত করেন।
এ সময় সরকারের অবস্থান ‘সাপ হয়ে দংশে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে’-এর মতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমএমএ/
