জিপিএ-৫ ও পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে

এবারও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ বছর মোট ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। যা ২০২১ সালের তুলনায় দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন বেশি। এর মধ্যে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তাদের মধ্যে পাস করেছে আট লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৩ জন।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন ছাত্রী।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জতাকি মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১.২৮ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৫.১৭ শতাংশ, ঢাকা বোর্ডে ৯০.০৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৬ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮২.২২ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৮৯.৫৫ শতাংশ।
এ বছর যশোর বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১০ হাজার ৬৮ জন, সিলেট বোর্ডে ৭ হাজার ৫৬৫ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ২৫ হাজার ৫৮৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫ হাজার ২১৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন এবং কারিগরিতে ১৮ হাজার ৬৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এবার একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ৫০টি, এবং শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৯৭৫টি।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।
আরইউ/আরএ/
