“আমাদের ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি-টেকনোলজি’ বিভাগ রয়েছে”

লেখা ও ছবি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণে সবার সচেতনতা বাড়াতে ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ ‘খাদ্য আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ সেমিনার করেছে।
‘জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য’ প্রতিপাদ্যে সেমিনারটি সাস্টের আমন্ত্রণে আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’।
‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি-টেকনোলজি’সহ অনেকগুলো বিভাগের প্রচুর শিক্ষক, গবেষক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হাসন রাজা মিলনায়তন’-এ সেমিনারটি হয়েছে।
সভাপতি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও যুগ্ম-সচিব মো. রেজাউল করিম, এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজন ভালো ও উন্নত খাবার। প্রয়োজন আপামর জনগণের সচেতনতা।’
তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের দেশের প্যাকেটজাত খাবারগুলোর মান যাচাইয়ের জন্য সরকারী প্রতিষ্ঠান ‘বিএসটিআই’ কাজ করে চলেছে।”
তিনি উল্লেখ করেেেছন, ‘খাদ্যের প্যাকেটের উপর মেয়াদের লেভেল লাগিয়ে দেয়ার মধ্যেই যেন আমাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না থাকে। অন্যান্য কর্মতৎরতাও প্রয়োজন রয়েছে।’
উপাচার্য জানিয়েছেন, “আমরা খুবই আনন্দিত, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি-টেকনোলজি’ নামে একটি বিশেষ ও অনন্য বিভাগ রয়েছে। আমাদের শিক্ষক ও ছাত্র, ছাত্রীরা দেশ-বিদেশের খাদ্য নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। আমাদের কর্মতৎপরতার মাধ্যমেও দেশে খাদ্যসামগ্রীতে যেসব বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো হতো, সেগুলোর হাত থেকে আমরা অনেকটা মুক্ত হতে পেরেছি। আমি আশা করি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজালমুক্ত খাবারে আরও নজরদারি বাড়াবেন।”
‘খাদ্য আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. আনোয়ারুল ইসলাম।
অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনা পারভীন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সচিব আবদুন নাসের খান।
ওএফএস।
