‘একমাত্র বঙ্গবন্ধুই জাতিকে স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন’
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার ১৩ আগষ্ট ২০২২, ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।
সঞ্চালনা করেছেন ইংরেজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শেখ আলাউদ্দিন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (বিইউ)’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের নামকরা অধ্যাপক, গবেষক ড. মেসবাহ কামাল সভাপতিত্ব করেছেন।
বিইউ’র ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ কামরুল হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘একদম শেকড় বা মাটির মানুষের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু উঠে এসেছেন। সারাজীবন তৃনমূল মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি শোকাবহ ১৫ আগষ্টের শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের প্রায় সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনকর্ম তুলেছেন এবং বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অনেক নেতা জন্ম নিয়েছেন কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন।’
‘বঙ্গবন্ধুুকে আমাদের জানা উচিত পরিপূর্ণভাবে, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি সর্বোপরি মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতোটা গভীর, কতোটা আন্তরিক ছিল এজন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতোদিন একজন বাঙালি থাকবেন, যতদিন পৃথিবীর ইতিহাস থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততদিন থাকবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এই দেশ উন্নত রাষ্টে পরিণত হত। ১৯৭৫ পরবর্তী দোসররা এ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার বড় মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’
তিনিও শিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং নীতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিইউ’ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল শোকাবহ ১৫ আগষ্টের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থগুলো থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তাই তাঁর আদর্শ এবং জীবনদর্শন আমাদের আধুনিক চিন্তাধারা তৈরীর ক্ষেত্রেও অমূল্য সম্পদে পরিনত হয়েছে।’
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙ্গালির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা।’
শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বিইউ’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আমিরুল আলম খান।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন।
ওএফএস।