বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বড় প্রাপ্তি
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ। আমি মনে করি এটি একটি সুসংবাদ। কোভিডের সময় আমরা এত চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করতে পারিনি। শিক্ষার্থীরা যে পরীক্ষা দিয়েছে এবং তার যে ফল প্রকাশ হয়েছে এটিই বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বড় একটি প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি। অনেকে হয়তো এর সংখ্যা নিয়ে কথা বলবেন। অনেকগুলি স্কুলে শতভাগ পাস করেছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে গ্রাম পর্যায়ে যত শিক্ষার্থী সফল হবেন, তাদেরও সংকল্প দাঁড়াবে ভবিষ্যতে ভালো করার। আমি মনে করি প্রতিক্রিয়াটি এমন হওয়া উচিত যে, আমি খুব আনন্দিত। বিশেষ করে এসএসসির ফলটা বেরিয়েছে এবং তাদের সাফল্য আমার খুব ভালো লেগেছে।
যদি স্বাভাবিক সময় থাকতো তাহলে হয়তো পাসের হার আরেকটু কম হতো বলে মনে হয়। পাস করে গেছে বলেই যে, তাদের অপাঙ্ক্তেয় করতে হবে তা নয়, বরং যত্ন করে তাদের এইচএসসির পড়াশোনার কাজটি শেষ করতে হবে। যাতে এইচএসসিতে তারা ভালো করতে পারে। আমাদের এই সন্তানেরা, তাদের যদি সামষ্টিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়, তারা ভালো করবে। গ্রাম থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসে, তাদের প্রথম বছরেই বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়। কারণ তাদের ইংরেজির জ্ঞান খুব একটা থাকে না। কিন্তু দেখা যায়, দুই তিন বছরের মধ্যে তারা নিজেদের মানিয়ে নেয়। কলেজগুলি যেন সত্যিকার অর্থেই সচল হয় এবং যখন কলেজে যাবে শিক্ষার্থীরা, তারা যেন ভালোভাবে শিক্ষা পায়। এখন যেহেতু সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়ে গেছে সেই শিক্ষাটুকু যেন যত্ন করে দেওয়া হয়। তাহলে বিগত বছরে তাদের যে অসম্পূর্ণতা ছিল সেটি তারা পূর্ণ করতে পারবে।
যারা ভালো ফলাফল করেছে তাদের অভিনন্দন এবং যারা এবার ভালো করতে পারেনি তারা ভবিষ্যতে ভালো করবে সেই প্রত্যাশা এবং শুভকামনা।
লেখকঃ শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক ।