দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

লেখা ও ছবি : প্রতিনিধি।
দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ছাত্র সংগঠন।
গতকাল ৭ আগস্ট, রোববার, রাত সাড়ে ৭টায় আমতলা চত্বর থেকে তাদের মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসটি প্রদক্ষিণ করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে তারা তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সঞ্চালনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি নাইমুল ইসলাম নাইম বলেছেন, ‘‘বিনা ভোটের সরকার’ মধ্যরাতেই ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৩৪ টাকা, পেট্রল ৪৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে। আমরা সবাই দাম বাড়ানোর সরকারকে আর চাই না।”
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রত্যেকটি নাগরিকের রাজপথে মিছিল ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু শনিবার ৬ আগষ্ট তালাইমারীতে ছাত্র ও গণ অধিকার পরিষদের মশাল মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এই অন্যায় ও ভয়াবহ অপরাধের তীব্র নিন্দাও জানাচ্ছি।’
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি নাইমুল ইসলাম নাইম উল্লেখ করেছেন, ‘আপনারা পুলিশ। আমরা চাই, জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করুন। নইলে আপনাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেছেন, “আজ জনবিরোধী সরকারের কারণে বাংলাদেশের সাধারণ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত সমাজের নাভিশ্বাস উঠেছে। ‘মিডনাইট’ সরকার তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ছাত্রলীগ ও পুলিশকে হামলা করার যে ইজারা দিয়েছে, তারা সেই ইজারাও অব্যাহত রেখেছেন। এই সরকার যতদিন পদত্যাগ না করবে, ততদিন আমাদেরকে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘ছাত্র ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেছেন, ‘পরশু দিন সরকার একতরফাভাবে মধ্য রাতে তেলের দাম বাড়িয়েছেন। বিশ্ব বাজারে যখন তেলের দাম কমছে, তখন একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আইএমএফ’র কাছে ঋণ নিয়ে তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলেছেন। এই সরকার মানুষের আয় না বাড়িয়ে গ্যাস, সয়াবিন, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। তেলের দাম না কমালে শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে।’
রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ)’র জন্য গড়া ‘রাকসু আন্দোলন মঞ্চ’র সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেছেন, ‘সরকার অপরিকল্পিতভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি। দেশের গুটি কয়েক আমলা ও মন্ত্রী দেশকে লুটে, পুটে খেয়ে সে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। ফলে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি, অতি শীঘ্রই সব পণ্যের দাম কমিয়ে যেন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হয়। নয়ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
ওএফএস।
